আমি অনেক চিন্তিত আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে। কারণ, আমার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই। এটা আমাকে এত ভয় দেখাচ্ছে যে তা ভেবে ক্লান্ত। আমার জানামতে, ‘উইদাউট অ্যান এইম এ ম্যান ক্যান নট সাকসেস ইন লাইফ’। তো আমি কীভাবে সফল হব?
আসলে আমি যখন যা দেখি, তাতেই প্রভাবিত হই। যেমন মাঝেমধ্যে ইচ্ছা করে একজন খেলোয়াড় হই, মাঝেমধ্যে ভাবি পরিচালক, আইনজীবী, মনোবিজ্ঞানী, পাইলট, এয়ারহোস্টেজ, মডেল, লেখক ইত্যাদি হই। আমি সঠিক কোনো একটা বিষয় নির্বাচন করে তার ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছি না। ভার্সিটিতে ওঠার সময় যেকোনো একটি বিষয় নির্ণয় করতে হবে, যার ওপর আমার পুরো ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে। কিন্তু আমার জন্য কোনটা সঠিক জানি না। আমি খুব দ্বিধাগ্রস্ত। সঠিক দিকনির্দেশনা না পেলে হয়তো অন্ধকারে হারিয়ে যাব।
নুসরাত জাহান
উত্তর: তোমাকে ধন্যবাদ চিঠির জন্য। তুমিই লিখেছ লক্ষ্যহীন হলে সফল হওয়া যায় না। সফল হওয়া বলতে তুমি কী ভাবো সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারলে ভালো হতো। তোমার চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে প্রাণশক্তি, আনন্দ-বিস্ময়, অপার কৌতূহল সবই তোমার আছে। আমি তোমার ইতিবাচকতাকে প্রশংসা জানাই। তুমি পথ খুঁজছ অর্থাৎ তুমি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছ। তুমি আবেগ ও যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করো কী কী বিষয় তোমার সত্যি সত্যি ভালো লাগে, কোন লক্ষ্যের দিকে গেলে অন্তরে-বাইরে একাগ্র হয়ে কাজ করতে পারবে। দূরটা দেখে লক্ষ্যস্থির করতে পারলে সিদ্ধান্ত সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে নিজে আলোকিত হওয়া যায়, সে আলো ছড়িয়ে পড়ে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে, সারা বিশ্বে।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।