আমার বড় বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে

আমি অনেক আশা নিয়ে আপনাদের আমার সমস্যার কথা বলছি। আশা করি আপনারা সমাধান দেবেন। আমার বড় বোনের শরীরে হঠাৎ করে শ্বেতী রোগ হয়েছে। শুধু হাত ও পায়ে ছোট ছোট সাদা দাগ বের হয়েছে। চিকিৎসক একটি মলম দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটি ব্যবহারে এক জায়গায় ভালো হলে আরেক জায়গায় রোগটি দেখা দিচ্ছে। আমার বড় বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমাদের পরিবারও বিষয়টি নিয়ে খুব চিন্তিত। এই রোগ ভালো হওয়ার উপায় কি আপনাদের জানা আছে? দয়া করে এর সমাধান দিন। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছি। কী করলে এটি ভালো হবে?

আহসান আহমেদ

উত্তর: তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে তুমি এত ছোট হয়েও তোমার বোনের প্রতি এভাবে খেয়াল রেখেছ। প্রথমত এ রোগের চিকিৎসার জন্য তোমার বোনকে কোনো অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই রোগ সহজে গ্রহণ করতে না পারলে অনেকের মনোবল ভেঙে যায়। আশপাশের সবার বিষয়টিকে বারবার আলোচনা (সমবেদনা জানানো, কৌতূহল প্রকাশ, নেতিবাচক মন্তব্য ইত্যাদি) করে এটাকে অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ করে ফেলা উচিত নয়। বরং কাছের মানুষ রোগটিকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে নিলে এবং এ রোগের উপসর্গ (শ্বেতী দেখা দেওয়া) নিয়ে কথা কম বললে তোমার বোনও রোগটি সহজভাবে নিতে পারবে।

এ ধরনের রোগ চেহারার ওপর প্রভাব ফেলে বলে অনেকের মনে হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে বা আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। অনেকে সামাজিক মেলামেশা বা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়, যা আরও ক্ষতিকারক। তাই তার যেকোনো ভালো গুণাবলি বা ভালো কাজে প্রশংসা, উৎসাহ দিয়ে কথা বলা, বন্ধুদের সঙ্গে ও সামাজিক মেলামেশা বাড়ানো ইত্যাদি তার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।

সুতরাং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগটি সহজভাবে গ্রহণ করার জন্য তোমার বোনকে সাহায্য করা উচিত। তোমরা যে তাকে ভীষণ ভালোবাসো এবং তোমাদের কাছে যে সে খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটাও তাকে নানাভাবে প্রকাশ করো।

এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - মনোবন্ধু, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।