প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থী,
বাংলা প্রথম পত্রে ভালো নম্বর পেতে হলে কী করতে হবে, তা ভালো করে জেনে নাও। সৃজনশীল পদ্ধতিতে ভালো করতে তোমার পাঠ্যবইটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
উদ্দীপক পড়ে বুঝে নাও
সৃজনশীল পদ্ধতিতে তোমার পাঠ্যসূচির কোনো গল্প বা কবিতার আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক থাকবে। উদ্দীপক ও সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের চারটি অংশ থাকবে।
যে গল্প বা কবিতার আলোকে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে, সেই গল্প বা কবিতা থেকেই থাকবে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। প্রশ্ন দুটির উত্তর করতে উদ্দীপকে যেতে হবে না। প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন হবে উদ্দীপক ও পাঠ্যবইসংশ্লিষ্ট।
উত্তরই ধারাবাহিকভাবে লিখবে
সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেহেতু চারটি অংশ (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন, তাই যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর লিখলে তার চারটি অংশের উত্তরই ধারাবাহিকভাবে শেষ করবে। এতে তোমার উত্তর লেখাও সুবিধা হবে।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এই প্রশ্নের উত্তর একটি বাক্যে দেবে। যেমন:
প্রশ্ন: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
জ্ঞানমূলক প্রশ্নে লেখকের নামের বানান ও জন্মসাল ভুল লিখলে উত্তর কাটা যাবে এবং নম্বর শূন্য পাবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। ১ নম্বর জ্ঞানের জন্য এবং ১ নম্বর অনুধাবনের জন্য।
জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লেখাই ভালো। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের শুরুতে অযথা কবি বা সাহিত্যিককে নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করবে না। মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হবে ‘জিরো ফ্যাট’, অর্থাৎ চর্বিশূন্য।
প্রয়োগমূলক প্রশ্ন
প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। এক প্যারায় সব তথ্য দিয়ে উত্তর লিখলেই হবে। প্রয়োগ ব্যাপারটি হলো, শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে, তা নতুন ক্ষেত্রে অর্থাৎ উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। কাজেই উদ্দীপকটি যে ভাবের আলোকে তৈরি করা হয়েছে, অর্থাৎ উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প বা কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য বা বৈসাদৃশ্য থাকে, সেটাই জ্ঞান। ওই দিকটি একটি বাক্যে লিখতে পারলেই ১ নম্বর। তারপর ওই দিক বা প্রসঙ্গ পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। অনুধাবন অংশের উত্তর লিখবে এবং সবশেষে দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে, তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ।
উচ্চতর দক্ষতা প্রশ্ন
উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। প্রশ্নেই সাধারণত একটা অনুসিদ্ধান্ত দেওয়া থাকবে। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়, তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করবে যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয়, তাহলে কেন ভুল, সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে, তা বর্ণনা করে যেসব ক্ষেত্রে মিল নেই, তা-ও বর্ণনা করবে।
বহুনির্বাচনি অংশ
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবে, যাতে ভুল না হয়। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের চারটি সঠিক উত্তর কিন্তু খুব কাছাকাছি থাকে। তাই বুঝে উত্তর করতে হবে। বহুনির্বাচনি অংশে ভালো করতে হলে তোমার পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি লাইন মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।