১. যা করব না, সে প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলব না
‘না’ বলতে পারা সবচেয়ে কঠিন কাজ, কিন্তু তা করতে পারাই ভদ্রতা। যে কাজ তুমি করবে না, সেই কাজে ‘হ্যাঁ’ বলা একদমই ঠিক নয়। এমনকি, ‘আচ্ছা, চেষ্টা করব’, ‘হয়তো করব’, ‘দেখা যাক, মে বি’—এইভাবেই বলা ঠিক হবে না। বলতে হবে, ‘আমি আপনার অনুরোধ রাখতে পারলে খুশি হতাম, কিন্তু বাস্তবে আমাকে না বলতে হচ্ছে। দুঃখিত, এটা আমি করতে পারছি না।’ না বলতে পারলে বহু ঝামেলা এড়ানো যায়। অনুরোধে ঢেঁকি গিলতে গিয়ে আমরা অনেক সময় পরে পস্তাই। না মানে তাই না-ই বলে দেওয়া উচিত।
২. খাবার টেবিলে আগেই খাওয়া শুরু করব না
খাবার টেবিলের নিয়ম হলো, সবাই বসবেন, সবার পাতে খাবার পরিবেশন করা হবে, তারপর খাওয়া শুরু করতে হবে। আগে পেয়েছি, তাই আগে খেতে শুরু করে দিলাম, তা চলবে না।
৩. অন্যদের সামনে মুঠোফোন দেখা চলবে না
যখন তুমি অন্য কারও সঙ্গে আছো, তখন তোমার মুঠোফোন হাত থেকে সরিয়ে রাখতে হবে। অনেক সময় জরুরি কল আসতে পারে, তাহলে সঙ্গের ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে ফোন ধরতে হবে। অন্যদের সামনে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা, টেক্সট করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চেক করা একদমই ঠিক নয়।
৪. হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখ না ঢাকা চলবে না
হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু পেপার বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। হাত দিয়ে মুখ ঢাকলে চলবে না। টিস্যু পেপার, রুমাল না থাকলে কনুইয়ের ভাঁজে নাক-মুখ ঢাকতে হবে।
৫. জনসমক্ষে ফোনে স্পিকার দিয়ে কথা বলা যাবে না
জোরে কথা বলা যাবে না। দোকানে, বাজারে, বাইরের বাথরুমে, স্টেশনে, বিমানবন্দরে, বাসে, ট্রেনে জোরে কথা বলা যাবে না। স্পিকার ফোন অন করলে অন্য প্রান্তের মানুষটিকে জানাতে হবে যে এই ফোন এখন স্পিকারে যাচ্ছে।
৬. লাইনে জটলা করা যাবে না
লাইনে দাঁড়ালে ঠিকঠাক দাঁড়াতে হবে। তোমরা একটা দল একসঙ্গে বেড়াতে যাচ্ছ, লাইনে দাঁড়িয়েছে, দলের সদস্যরা লাইনে দাঁড়ানোর পর একটা জায়গায় জটলা পাকাচ্ছ, তা চলবে না।
৭. লাইন ভাঙব না
বিমানবন্দরে, সিনেমা হলের টিকিট কাউন্টারে, লিফটের সামনে বা আর যেকোনো জায়গায় যেখানে লাইন আছে, সেখানে লাইনে দাঁড়াবে। লাইন ভাঙবে না। আজকাল রেস্তোরাঁয় গিয়েও বলতে হয়, আমরা এতজন, তারপর অপেক্ষা করতে হয়, ওয়েটার তোমাকে বসাতে নিয়ে যাবে, তারপর তার দেখানো টেবিলে বসবে।
৮. অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় কানের যন্ত্র খুলে নেব
তুমি গান শুনছ, এই অবস্থায় যদি অন্যের সঙ্গে কথা বলতে হয়, এয়ারপড একদম খুলে নেবে।
৯. বাইরে ভিডিও করার সময় অন্যের প্রাইভেসি ভাঙবে না
আমরা এটা প্রায়ই ঘটতে দেখি। টিকটকাররা, ইউটিউবাররা সারাক্ষণ ভিডিও করছেন। অন্যের প্রাইভেসি ক্ষুণ্ন করা যাবে না।
১০. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বসকে বন্ধু হিসেবে নেব না
তোমার ব্যক্তিগত জীবন তোমার। বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। কারণ, বস দেখে ফেলেছেন, তাঁর কর্মী কী পোস্ট করেন। সাবধান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বসকে বন্ধু না বানানোই ভালো।