ভবিষ্যতে মানুষ কী খাবে
খাদ্য ও পুষ্টির জগতে ধীরে ধীরে বড় পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে আমরা খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি হিসাব করে খাবার খেতে চেষ্টা করি। ভবিষ্যতের খাবার হবে আরও পুষ্টিকর, ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত করা এবং পরিবেশবান্ধব। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ব্যক্তিগত ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করা যাবে কার শরীরের জন্য কোন খাবার প্রয়োজন। কতদিন পরপর কোন খাবারটি খেতে হবে। এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘নিউট্রিজেনেটিক সার্ভিস’, যা ২০২৮ সালের মধ্যে আরও উন্নত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুষ্টির পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদনেও চলছে বড় ধরনের পরিবর্তন। যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বিশেষ প্রজাতির কলার ডিএনএ ব্যবহার করে প্রো-ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ কলা তৈরি করেছেন। একইভাবে, ‘ক্রিসপা ক্যাস৯’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ফল ও ফসল তৈরি করা সম্ভব হবে, যেটি একাই প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করবে।
বর্তমানে খাবারের স্বাদ ও আকৃতিতেও আসছে নতুনত্ব। সিলিকন ভ্যালির বিজ্ঞানীরা মাংস ছাড়া বার্গার এবং দুধবিহীন দুধ তৈরি করছেন, যা স্বাদে ও দেখতে একেবারে আসল খাবারের মতো। ন্যানো প্রযুক্তির সাহায্যে এমন আইসক্রিম তৈরি হচ্ছে, যা সহজে গলে না।
আগামীতে খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হবে রাঁধুনি রোবট এবং থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি। রোবট একদিকে রান্না করবে, অন্যদিকে থালাবাসন ধোয়া ও সাজানোর কাজও করবে। থ্রিডি প্রযুক্তির সাহায্যে আকর্ষণীয় আকারের খাবার যেমন কোরাল আকৃতির বিস্কুট বা ললিপপ তৈরি করা সম্ভব হবে।
এই নতুন খাদ্য প্রযুক্তির লক্ষ্য শুধু খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়ন করা নয়। এই খাবার স্বাস্থ্যের চাহিদা পূরণ করবে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করবে। খাওয়াদাওয়ার অভিজ্ঞতায় আনবে বৈচিত্র্য।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস