প্রিয় মনোবন্ধু,
আমি প্ল্যান করি বাড়িতে বসে ভালো করে পড়াশোনা করার। অবশ্য আমি প্রাইভেটও পড়ি। তবে আমি সব সময় বেশি পড়ার চেষ্টা করি। আমি এবার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থ।। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ পড়া শেষ, রিভিশন দিচ্ছি। তারপরও পড়াশোনা নিয়ে চিন্তা হয়। মনে হয় পারব না। চেষ্টা করি নিজেকে বোঝানোর, সবাই বোঝায়। তবু বুঝেও বুঝি না। দিনে কত ঘণ্টা পড়া উচিত আমাদের? শুধু মনে হয়, আরও পড়তে হবে, কোনো সন্তুষ্টি নেই। এ জন্য আমার মানসিক সমস্যা হচ্ছে। রাতে ঘুমাতে পারছি না। শরীরটা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আগে আমি আরও বেশি পড়তে পারতাম। এখন মনে হয় পড়ব, কিন্তু বেশি পড়তে পারি না। সব সময় অস্থির হয়ে থাকি। মনে হয় ছবি আঁকি, তারপর মনে হয় গান গাই আবার মনে হয় আবৃত্তি করি। কিন্তু আগের মতো পারি না। আমার দিদি প্রতিনিয়ত বোঝাচ্ছে। কিন্তু আমি বুঝেও বুঝতে পারছি না। আমাকে সমাধান বলে দাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: অবশ্যই তুমি অনেক অনেক ছবি আঁকবে আর গান গাইবে। আবৃত্তিও করবে। এগুলোই তোমাকে পড়ার দিকে আগ্রহ বাড়াবে। পড়া নিয়ে তুমি যত টেনশন করবে, তত কিন্তু তোমার পড়ার প্রতি আগ্রহ কমতে থাকবে। তাই পড়ালেখাকে প্রতিদিনকার সাধারণ খাওয়া, ঘুম, গোসল করার মতো দেখতে শেখো। তখন পড়াকে আর বিশাল পাহাড় মনে হবে না। কতক্ষণ পড়তে হবে, সেটার কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। বিষয়টা একেকজনের জন্য একেক রকম। কিন্তু অবশ্যই সারা দিন পড়বে না। তুমি তোমার দৈনন্দিন একটা রুটিন তৈরি করো। সেই রুটিনে যেন পর্যাপ্ত ঘুম থাকে, নিজের জন্য আলাদা সময় থাকে। সেই রুটিনে খেলা থাকবে, গান থাকবে, সব থাকবে। পড়তে পড়তে স্যাটিসফ্যাকশন হোক আর না হোক, তোমার দায়িত্ব শুধু নিয়ম করে পড়া। পড়ার পাশাপাশি শরীর ও মনেরও যত্ন নেবে। রাত জাগবে না। দিনে অনেক বেলা পর্যন্ত শুয়ে থাকবে না। পড়া নিয়ে বাড়তি চাপ নয়, মনে রাখবে, পড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অত্যন্ত মামুলি একটি বিষয়। এটা মনে রাখলে পড়া তোমার কাছে সহজ হয়ে যাবে।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।