আবারও বন্যা, প্রয়োজন সতর্কতা
আগস্ট মাসের শেষে দেশের ১১টি জেলার ৭৪টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৫৯ জন মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১টি জেলার ৬৮টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। জেলাগুলো হলো ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ৩ হাজার ৯২৮টি। এগুলোতে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৩৬ হাজারের বেশি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে (প্রথম আলো)।
অন্যদিকে ২৯ সেপ্টেম্বর রোববারের খবর অনুযায়ী, কুড়িগ্রামে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা, গঙ্গাধর ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বাড়া অব্যাহত আছে।
রোববার সকাল নয়টায় কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, ১২ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতলে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ৬২ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৪৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে ২ দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রয়োজন সতর্কতা
বন্যার সময় বহুমাত্রায় দুর্যোগ আসে। অনেক ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর মধ্যে মানুষের মৃত্যু হলো সবচেয়ে বড় ধরনের ক্ষতি। বন্যায় কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। বন্যাপ্রবণ এলাকায় জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা আমাদের সবার প্রথম দায়িত্ব। সাধারণ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে বন্যা-সম্পর্কিত মৃত্যু ও আঘাত এড়ানো যেতে পারে। এ পরামর্শটি সবাই অনুসরণ করা উচিত। নিয়মটি হলো ঘুরে দাঁড়াও, ডুবে যেও না।
সাধারণত বন্যাজনিত মৃত্যুর ৫০ শতাংশের বেশি ঘটে বন্যার পানিতে গাড়ি চালানো বা হাঁটাচলার কারণে। স্রোত বা বন্যার চলমান পানিতে কখনোই হাঁটা উচিত নয়। কারণ ছয় ইঞ্চি দ্রুত চলমান পানিতে প্রাপ্তবয়স্কদের পা হড়কে যেতে পারে। স্রোতের টানে মানুষ পানিতে পড়ে যেতে পারে এবং ভেসে যেতে পারে। সাঁতার জানলেও এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসে না। ১২ ইঞ্চি দ্রুত চলমান পানি একটি ছোট গাড়িকে ভাসিয়ে বা টেনে নিয়ে যেতে পারে। ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চির স্রোত বড় গাড়ি, যেমন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ইত্যাদি ভাসিয়ে নিতে পারে।
তোমার এলাকায় বন্যা হতে পারে, তুমি বন্যায় আক্রান্ত কোনো এলাকায় যেতে পারো অথবা কোনো এলাকায় তোমার অবস্থানের সময় হঠাৎ প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পানির ঢল বয়ে যাচ্ছে, এমন জায়গার কাছাকাছি তোমার অবস্থান হতে পারে। এমন এলাকায় তোমার অবস্থান হলে ধরে নিচ্ছি ওই এলাকার কোথায় কতটুকু পানি জমেছে তুমি জানো। অথবা পানির গভীরতা তোমার জানা নেই। পানির নিচে রাস্তা না মাটি, এ তথ্যটি বন্যার সময় জানা জরুরি।
প্রবহমান পানির মধ্য দিয়ে কোনো অবস্থাতেই হাঁটবে না। বেশির ভাগ মানুষ আকস্মিক বন্যার সময় এমন পানির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে ডুবে যান। ছয় ইঞ্চি পরিমাণ দ্রুত প্রবহমান পানি তোমার পা হড়কে দিতে পারে। ‘ঘুরে দাঁড়াও, ডুবে যেও না!’—এ বাক্যটি মনে রাখো।
পানি জমে থাকলে হেঁটে যাওয়া বা গাড়িতে যাওয়া, কোনোটাই নিরাপদ নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, বিপরীত দিকে ফিরে আসো। সামনে যদি তোমার বাড়িও হয়, ওদিকে যেও না। যে এলাকায় পানি নেই, সেখানে ফিরে এসো।
বন্যা কী?
আমাদের দেশের মানুষ কমবেশি সবাই বন্যার সঙ্গে পরিচিত। যখন নদ-নদী উপচে বা অতিবৃষ্টির ফলে কোনো এলাকায় পানি জমে যায়, তখন বন্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে যখন নদী ও জলাধারগুলোর পানি উপচে পড়ে, মাটিতে পানি শোষিত হতে পারে না, তখন বন্যা দেখা দেয়।
যে কারণে প্রস্তুতি নিতে হবে
আমাদের দেশে বন্যা খুব সাধারণ বিষয়। নদী বেয়ে পানি সমুদ্রে যাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানির চাপে অনেক এলাকায় নিয়মিত বন্যা হয়। প্রচুর বৃষ্টিপাতও আমাদের দেশে সাধারণ ঘটনা। এক দিনের মধ্যে কোনো কোনো এলাকা ডুবে যেতে পারে। পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায় আকস্মিক বন্যা। ঝড়ের পর হঠাৎ জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এ সময় পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা বা বাঁধ দ্রুত ভেঙে পড়ে, আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। তাই জীবন রক্ষা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে আমাদের বন্যা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হবে।
বন্যা পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতা
বন্যা থেকে রক্ষা পেতে তোমার অবস্থান ও তোমার হাতে কতটুকু সময় আছে তা হিসাব করে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। সতর্কতার বিষয়গুলো জানতে হবে। তোমার অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হয় কি না বা হওয়া সম্ভব কি না, তা জেনে রাখো। নদী বা সমুদ্র উপকূল কিংবা পাহাড়ি ছড়ার পাশে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে। তাই আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বন্যার অবস্থার দিকে মনোযোগ দাও। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অতিবৃষ্টি হলে উঁচু জমিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকো। বন্যা হচ্ছে বা ঘটতে যাচ্ছে বুঝতে পারলে নিচু অঞ্চলগুলো এড়িয়ে চলো। প্রয়োজনে পরিবার ও প্রতিবেশীদের নিয়ে উঁচু জায়গায় চলে যাও।
বন্যার আগে কী করব
জরুরি অবস্থার আগে সতর্কতা সংকেত এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসের খোঁজ নাও। অনেক মিডিয়া ও ওয়েবসাইট লাইভ আবহাওয়া সংবাদ প্রচার করে। এর দু–একটি নিয়মিত ফলো করার অভ্যাস করো।
তোমাদের বাড়ি বন্যাপ্রবণ বা উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে কি না, তা জেনে নাও।
তোমার এলাকাটি কোনো বাঁধ থেকে ভাটিতে (বাঁধ ও সমুদ্রের মাঝখানের কোন এলাকায় তোমার বাড়ি) কি না, জেনে নাও।
পারিবারিকভাবে জরুরি অবস্থা বা আপৎকালীন পরিকল্পনা তৈরি ও পর্যালোচনা করে রাখো।
প্রয়োজনে দ্রুত উঁচু জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা ও ব্যবস্থা করে রাখো।
একটি জরুরি কিট বক্স সঙ্গে রাখো। এতে ওষুধ, রশি, লাইফ জ্যাকেট, আলোর ব্যবস্থা ইত্যাদি থাকতে পারে।
জরুরি কাগজ ও জিনিসপত্রের ছবি বা ভিডিও করে একটি রেকর্ড তৈরি করে নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করো। সেটা হতে পারে অনলাইন ও অফলাইনে রাখা সব কাগজপত্রের ফটোকপি।
বন্যার জন্য তোমার বাড়িকে প্রস্তুত করো, যেন ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।
সাঁতার শিখে রাখো।
আকস্মিক বন্যার আগমুহূর্তে
আবহাওয়ার সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য নির্ভরযোগ্য টিভি চ্যানেল দেখো, রেডিও শোনো।
দুর্যোগে প্রচারিত সরকারি নির্দেশা অনুসরণ করো।
হঠাৎ আবহাওয়ার পরিস্থিতি বদলে যাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকো। উঁচু জমিতে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকো।
ঘরের বাইরের কাজ বা স্কুল থাকলে যথাসম্ভব এগুলো ছেড়ে নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দাও।
ঘরের বাইরে যে আসবাব আছে তা রশি দিয়ে বেঁধে রাখো। না বাঁধলে এগুলো ভেসে যেতে পারে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বন্যা হওয়ার আগে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ খুলে ফেলো। ভিজে গেলে বা পানিতে লেগে থাকলে এগুলো স্পর্শ করবে না।
রাস্তার পানি কমাতে ড্রেন বা ম্যানহোলের ঢাকনার ছিদ্রে জমা ময়লা সরিয়ে ফেলো, যেন পানি চলাচলে পথ তৈরি হয়।
ভারী বৃষ্টিপাতের সময় স্রোত, নদী, পুকুর বা বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য এলাকায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলো। এই অঞ্চলগুলো অল্প সময়ে প্লাবিত হতে পারে।
বন্যার সতর্কতা শোনার পর বা বন্যা শুরুর পর কী করব
অবিলম্বে উঁচু জমিতে চলে যাও বা উঁচু ভবনে আশ্রয় নাও।
জরুরি তথ্যের জন্য নির্ভরযোগ্য মিডিয়ায় প্রচারিত খবর শোনো।
সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করো। যদি সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তবে অবিলম্বে এলাকা থেকে সরে যাও।
খাবার, পানি, ওষুধ, স্যালাইন, আলোর ব্যবস্থা এবং লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে রাখো।
যদি বাড়ি ছেড়ে যেতে হয় তাহলে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নাও। নিরাপত্তা থাকলে পোষা প্রাণী সঙ্গে নাও।
বন্যার পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করব না
প্রবহমান পানির মধ্য দিয়ে কোনো অবস্থাতেই হাঁটবে না। বেশির ভাগ মানুষ আকস্মিক বন্যার সময় এমন পানির মধ্য দিয়ে চলতে গিয়ে ডুবে যান। ছয় ইঞ্চি পরিমাণ দ্রুত প্রবহমান পানি তোমার পা হড়কে দিতে পারে। ‘ঘুরে দাঁড়াও, ডুবে যেও না!’—এ বাক্যটি মনে রাখো। প্লাবিত রাস্তায় চলাচল থেকে তোমাকে বিরত রাখতেই এ বাক্যটির প্রচলন ঘটানো হয়েছে। মাত্র দুই ফুট উচ্চতার পানির স্রোত গাড়ি ভাসিয়ে নিতে পারে। যদি তোমাদের গাড়ি স্রোতের পানিতে আটকে পড়ে তবে গাড়িতে থাকো। গাড়ির ভেতরে পানি বাড়তে থাকলে গাড়ির ছাদে আশ্রয় নাও। আর বন্যার সময় কালভার্ট ও সেতু পার হওয়া থেকে বিরত থাকো। পানির স্রোত এ জায়গাতে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। যদি উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয় তাহলে টেলিভিশন বা রেডিওর সংবাদে আস্থা রাখো। পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে, তাই প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র বা প্রতিবেশীর উঁচু বাড়িতে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখো।
বন্যার পর যা করতে হবে
বন্যার খবর শোনো ও সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করো।
তোমার এলাকাকে নিরাপদ ঘোষণা করার পর বাড়ি ফিরে যাও। কর্তৃপক্ষ এলাকা অনুযায়ী নিরাপদ ঘোষণা করে।
বিদ্যুতের লাইন এবং গ্যাস লিক হয়েছে কি না, পরীক্ষা না করে ব্যবহার শুরু করবে না।
জরুরি সহায়তার জন্য ৯৯৯–এ কল করো।
প্রতিবেশীর প্রতি সদয় হও। পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, বিশেষ করে বয়স্ক বা যাঁরা একা থাকেন, তাঁদের খবর নাও। চিকিত্সার দরকার হলে সহায়তা করো। অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হলে নিরাপত্তা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করো।
নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সতর্কতা
বিদ্যুতের তার থেকে দূরে থাকো। তার ছিঁড়ে পানি বিদ্যুতায়িত হতে পারে। এটি জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বন্যার পানি নেমে যাওয়া রাস্তায় উৎসুক হয়ে চলাচল দেখতে বা মাছ মারতে যাবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে দূরে থাকো। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বা রাস্তা থেকে দূরে থাকো। যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ এলাকাকে নিরাপদ মনে করে, ততক্ষণ এলাকায় আসবে না।
কোথাও পা ফেলার আগে দেখে নাও। ভাঙা বোতল, পেরেকসহ ধ্বংসাবশেষ বন্যার পরে মাটি ও মেঝেতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকে। কাদা দিয়ে মেঝে ঢেকে যায়, সিঁড়ি পিচ্ছিল হয়ে যায়।
নিরাপদ পানি পান করো। প্রয়োজনে কমপক্ষে এক মিনিট পানি ফুটিয়ে নাও। বন্যার পর পানিবাহিত রোগ সবচেয়ে বেশি ছড়ায়।
বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া সব খাবার ফেলে দাও। পানিতে ডুবে গিয়েছিল, এমন গাছের ফল ফেলে দাও। দুই ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ থাকা ফ্রিজের খাবারও ফেলে দাও। এসব খাবারে অস্বাভাবিক গন্ধ, রং থাকলে ফেলে দাও, মায়া করবে না।
বাড়ি পরিষ্কার করো এবং ক্ষয়ক্ষতির দেখে নাও।
সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত সেপটিক ট্যাংক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা নাও।
মনে রাখতে হবে, বন্যায় জীবনের নিরাপত্তাই প্রথম। সতর্ক থাকো, ঘুরে দাঁড়াও, ডুবে যেও না।