প্রিয় মনোবন্ধু,
এক সপ্তাহ ধরে আমার বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া চলছে। মাঝখানে সবকিছু ঠিক হয়ে গেলেও গত পরশু তার সঙ্গে আবারও আমার মনোমালিন্য হয়। সব সময় সে আমার রাগ ভাঙাতে আসলেও পরশু এমনটা হয়নি। ঝগড়ার কারণটা না-ই বলি। তার সঙ্গে আর বন্ধুত্ব রাখতে চাচ্ছি না। কিন্তু তার সঙ্গে তিন দিন কথা না বলতে পেরে আমার মরার উপক্রম। সে আমার রাগও ভাঙাতে আসেনি। কিন্তু আমি তাকে কিছুতেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না। তার কথা চিন্তা করতে করতে শেষ হয়ে যাচ্ছি। এত পরিমাণে চিন্তা করছি যে স্বপ্নেও তাকে ছাড়া কিছু দেখছি না। এমনকি পড়ার সময়ও তার কথা চিন্তা করতে ছাড়ছি না। যার কারণে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না। কোনো কাজই ঠিকমতো করতে পারছি না। একবার তার সঙ্গে কথা বলে সবকিছু মিটমাট করে ফেলতে চাইলেও আমার রাগ আর জেদের কাছে আমাকে হার মানতেই হলো। এ অবস্থায় আমার করণীয় কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর: ঝগড়া তো বান্ধবীর সঙ্গে হতেই পারে। আর সে তোমার এত প্রিয় বান্ধবী যে তুমি তার সঙ্গে তিন দিন কথা না বলে থাকতেই পারো না। সে তোমার রাগ ভাঙাতে আসেনি তাতে কী হয়েছে? তুমি তার রাগ ভাঙাতে যাও। সামনাসামনি কথা বলতে বা ফোনে কথা বলতে যদি জড়তা লাগে তুমি লিখে পাঠাও! না হয় কিআতে ছাপা এই চিঠিটা তাকে দেখাও। আমি নিশ্চিত, সে-ও তোমার সঙ্গে কথা না বলে থাকতে পারছে না। রাগ আর জেদের কাছে হার মানা হচ্ছে, তুমি হেরে যাচ্ছ। তাই রাগ আর জেদের কাছে না, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার কাছে হার মানো। কিআ পরে পড়ো, এক্ষুনি যাও, দৌড়াও। তোমার বান্ধবীর কাছে ফোন করে কথা বলো। আর তোমাদের দুজনের জন্যই মনোবন্ধুর পক্ষ থেকে ঝগড়া মেটানোর জন্য আগাম শুভেচ্ছা
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।