আমি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। কিছুদিন আগে আমার বড় ভাই উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু সে অকৃতকার্য হয়। ঘটনাটি আমিসহ পরিবারের সবাইকে হতাশাগ্রস্ত করে। এখন আমি ভালোভাবে পড়াশোনা করে বাবা-মায়ের হতাশা দূর করতে চাই। কিন্তু আমি ভালোভাবে পড়ায় মনোযোগ দিতে পারছি না। শুধু ভাইয়ার হতাশার কথাই মনে পড়ে। কারণ, এই প্রথম আমাদের মধ্যে কেউ অকৃতকার্য হয়েছে। আমি এখন কীভাবে পড়াশোনায় মনোযোগ দেব?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফেনী
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে অকৃতকার্য হলেও তোমার ভাই কিন্তু সফলতার সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে। তার ব্যর্থতাকে ফোকাস না করে সফলতাকে ফোকাস করো। তার সঙ্গে সঙ্গে যদি তোমরাও মন খারাপ করো, তবে তার মনোবল আরও কমে যাবে। তাকে সাহস দাও, চেষ্টা করলে অন্য যেকোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সে ভর্তি হতে পারবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা মানেই কিন্তু তার সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি। পৃথিবীর এমনকি বাংলাদেশের বহু সফল মানুষ আছেন, যাঁরা তোমার ভাইয়ের মতো উচ্চমাধ্যমিকও পাস করতে পারেননি। মনে রাখবে, হতাশা হতাশা বাড়ায় আর সাহস বাড়ায় সাহস। তাই তোমার ভাইকে সাহস দিতে তুমিসহ পরিবারের সবাই তাকে উৎসাহ দাও, যাতে সে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সফলতার মতো ব্যর্থতাও জীবনের একটি অনুষঙ্গ, তাই ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে সফলতার জন্য চেষ্টা করতেই হবে। আর তুমি যদি ভাইকে দেখে হতাশ হয়ে নিজের পড়ালেখা ছেড়ে দাও, তবে পরিবারে আরও ব্যর্থতার পরিমাণ বাড়বে! নিশ্চয়ই তুমি তা চাও না। তাই সব ব্যর্থতার গ্লানি ঝেড়ে ভাইবোন দুজন মিলে সফলতার দিকে নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যাও।
এই বিভাগে তোমরা তোমাদের মানসিক নানা সমস্যা, যা তোমার শিক্ষক, মা-বাবা বা অন্য কাউকে বলতে পারছ না, তা আমাদের লিখে পাঠাও। পাঠানোর ঠিকানা—মনোবন্ধু, কিশোর আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা। ইমেইল করতে পারো [email protected]-এই ঠিকানায়। ইমেইলে পাঠাতে হলে সাবজেক্টে লিখবে - ‘মনোবন্ধু’, তারপর তোমার সমস্যাটি ইউনিকোড ফরম্যাটে লিখে পেস্ট করে দেবে মেইলের বডিতে। নাম, বয়স লিখতে ভুলবে না। তোমার সমস্যা বোঝার ক্ষেত্রে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।