সাপ কামড়ালে যা করা উচিৎ এবং যা করা উচিৎ না
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে ৯৪ প্রজাতির সাপ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৬টি প্রজাতি বিষধর। বাকি ৬৮ প্রজাতির সাপের বিষ নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, প্রতিবছর দেশে সাপ প্রায় ৯ লাখ মানুষকে ছোবল দেয়। এর মধ্যে প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ জন মারা যান, বছর শেষে সেই হিসাব ছয় হাজারে গিয়ে ঠেকে। সাপের বিষে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সচেতন হতে হবে।
১. ওঝার কাছে যাবে না।
২. হাতে ঘড়ি বা চুড়ি, বালা থাকলে খুলতে হবে।
৩. কামড়ের স্থানে ঠান্ডা, গরম, বরফজল বা কেমিক্যাল দেবে না। কেটে বিষ বের করা যাবে না।
৪. কাছাকাছি হাসপাতাল যেখানে সাপের কামড়ের চিকিৎসার ওষুধ অ্যান্টিভেনম সিরাম, অ্যাট্রপিন নিওস্টিগামিন, অ্যাড্রেনালিন পাওয়া যায় সেখানে যেতে হবে।
৫. রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে। অযথা আতঙ্কিত হওয়া যাবে না।
৬. রোগীকে নড়াচড়া করানো যাবে না।
৭. ১০০ মিনিটে ১০টি অ্যান্টিভেনম নিতে হবে, তাই সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। সাপ কামড়ানোর চিকিৎসায় প্রথম ১০০ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৮. হাসপাতালে গিয়ে দালাল নয়, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলো।
৯. কামড়ানো স্থানটিতে কোনো বাঁধন না দেওয়াই ভালো।
১০. গ্রামাঞ্চলে দ্রুত রোগী পরিবহনের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যেতে পারে। মোটরসাইকেলের চালক, মধ্যে রোগী ও পেছনে একজন রোগীকে ধরে বসবেন। রোগীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাসপাতালে যাবেন।
১১. কামড়ের স্থানে কোনো ফাস্ট এইড ব্যবহার না করাই ভালো।
১২. হাসপাতালে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
১৩. ডাক্তার রোগীকে রেফার করলে রোগীকে কোন হাসপাতালে রেফার করলেন, তা ভালো করে জেনে তারপর যেতে হবে।