কম্পিউটারের সামনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেম খেলা নিশ্চয়ই তোমার প্রিয় কাজগুলোর একটি। তবে গেম খেলার পাশাপাশি কম্পিউটারসহ অন্যান্য আইটি সেক্টরে দক্ষ হয়ে তুমি কিন্তু অনেক কিছুই করে ফেলতে পারো। বাংলাদেশে আইটি সেক্টরের ভবিষ্যৎ কতটা সম্ভাবনাময়, সেটা আগে বলি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পোশাক ও সেবা খাতের সঙ্গে ভবিষ্যতে আইটি সেক্টরই প্রতিযোগিতা করবে। দেশের কর্মসংস্থানে এ সেক্টর যে বড় একটা প্রভাব বিস্তার করবে, তা সহজেই বোঝা যাচ্ছে। আইটি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি খাতের সব ট্যাক্স মওকুফ করে দিয়েছে সরকার। আমাদের দেশে বর্তমানে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে বাংলাদেশ এখন পঞ্চম বৃহত্তম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশ। প্রযুক্তির ফলে জীবনযাত্রা যেমন সহজ হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে কর্মসংস্থান।
প্রযুক্তিনির্ভর বাজার অর্থনীতির এ সময়ে চাকরিদাতারা শুধু একাডেমিক সার্টিফিকেট নয়, দক্ষতাও চেয়ে থাকেন। আইটি সেক্টরের যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে তাই খুব সহজেই যে কেউ বেছে নিতে পারবে নিজের ভবিষ্যৎ।
আইটি সেক্টর অনেক বড় ও বিস্তৃত। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, অ্যানিমেশন, অটোমেশন, সাইবার সিকিউরিটি, নেটওয়ার্কিং, ডিজিটাল মার্কেটিংসহ শত শত বিষয় রয়েছে, যা আইটি সেক্টরের ক্যারিয়ার গড়ার সময়োপযোগী প্ল্যাটফর্ম। আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েও দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
আমাদের দেশে আইটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান হলো ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন জানান, ‘আইটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় ও ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট দুটোই হবে। তাই এই সেক্টরে দক্ষ জনবল তৈরি করতে ১২ বছর ধরে কাজ করছে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট।’
তাঁর মতে, ‘প্রযুক্তিনির্ভর বাজার অর্থনীতির এ সময়ে চাকরিদাতারা শুধু একাডেমিক সার্টিফিকেট নয়, দক্ষতাও চেয়ে থাকেন। আইটি সেক্টরের যেকোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে খুব সহজেই তাই যে কেউ গড়ে নিতে পারবে নিজের ভবিষ্যৎ।’