প্রিয় কিআ,
এই চিঠি টাইপ করার সময় কি–বোর্ড আমাকে বারবার বলছিল, লিখে লাভ নেই। তুমি ছাপবে না। কিন্তু আমি ওকে বললাম, না ছাপালেও তো একবার পড়বে। আর ছাপতেও তো পারে। তা ছাড়া তুমি আমার অনেক আগের বন্ধু। তোমাকে আমি প্রথম দেখেছি আমার কাজিনের বুকশেলফে। তখন আমার বয়স ছিল সাত বছর। আর সেদিন থেকেই তুমি আমার কতটা প্রিয় হয়ে উঠেছ, বোঝাতে পারব না। আমি তোমাকে জন্মদিনের উইশও আগেই করেছিলাম, তবু আবার করছি—শুভ জন্মদিন কিআ। এভাবেই সব সময় আমাদের সঙ্গে থেকো। আর প্লিজ, লেখাটা ছাপিয়ে কি–বোর্ডের ধারণা ভুল প্রমাণ কোরো।
ফাহিম রেজা
নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, নওগাঁ
কিআ: আরে কি–বোর্ড এত কিছু বোঝে নাকি? সে তোমার আর আমার মধ্যে স্পেস তৈরি করে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তুমি এসব কথায় একেবারেই পাত্তা দিয়ো না। বরং ব্যাকস্পেস দিয়ে দূরত্ব কমিয়ে ফেলো। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কিআ কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় ‘ডাকটিকিটবিষয়ক কর্মশালা’। এই কর্মশালায় আমিও অংশগ্রহণ করি। সত্যিই চমৎকার হয়েছে কর্মশালাটি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ডাকটিকিট নিয়ে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছি কর্মশালায়। আশা করি, এ ধরনের আয়োজন আবার হবে। কিআ, এত সুন্দর একটি কর্মশালা আয়োজন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তাওহীদুল ইসলাম
দশম শ্রেণি, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা
কিআ: অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আসার জন্য। এ বছর থেকে নিয়মিতই এমন বিভিন্ন আয়োজন থাকবে কিআ কার্যালয়ে। সেগুলোর খবর জানতে চোখ রেখো কিআর ফেসবুক পেজে।
প্রিয় কিআ,
প্রথমেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আশা করি এ বছর তুমি আরও একটু মোটা হবে। নতুন বছরে বিড়ালকথন দিয়ে সবার মন ভালো করে দিতে চাই। আমাদের বাসায় ১১টি বিড়াল (মুটু, ভুট্টু, পাতলা খান, মিমি, তেড়ি–বেড়ি মিমি, কিটু, মচুয়া, টুশি, মুশি, লালুয়া-১, লালুয়া-২) আছে। তাদের মধ্যে ভুট্টু আমার অতি আদরের। তার প্রিয় খাবার ডেইরি মিল্ক চকলেট। তাই ভুট্টুর কতগুলো প্রিয় ছবি দিলাম।
ইশাদি ইলমা
এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২১, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খুলনা।
কিআ: ভুট্টুকে দেখে মনে হচ্ছে চকলেট খাওয়া নিয়ে সে খুবই চিন্তার মধ্যে আছে। নাকি পুরোটাই ভান? ভাবটা এমন যে সে চকলেট খেতে তেমন আগ্রহী না, তুমি দিলে বলেই খাওয়ার কথা ভাবছে। তাই না? কিন্তু বাকি বিড়ালগুলোর ছবি যে দিলে না, ওরা তো মন খারাপ করবে। ওদের সবাইকে নিয়ে একটা লেখা পাঠাও। ভালো থেকো (বিড়ালসহ)।
প্রিয় কিআ,
১৩ ডিসেম্বর, সোমবার। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট। আমি আমার ৪টি পাখিকে খাবার দিচ্ছিলাম। ঠিক সে সময় ঘটে গেল এক ভয়ংকর ঘটনা। আমার ছোট বোন ডিসেম্বরের কিআ জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিল। আমার মাথায় যেন আগুন জ্বলে উঠল! দুর্ভাগ্যক্রমে সেটি নিচে না পড়ে আটকে যায়, যা আমি জানতে পারি ছাদে গিয়ে। এরপর বাসার কাজের আপুকে বলি, লাঠি দিয়ে খোঁচা দিয়ে কিআটাকে নিচের দিকে ঠেলতে। তারপর আমিও ঝটপট নিচে গিয়ে তোমাকে ধরি, যাতে তুমি একটুও ব্যথা না পাও। শেষ হলো উদ্ধার অভিযান।
তাসনুভা তাসকিন
কিআ: ভাগ্যিস আটকে গিয়েছিলাম। অত উঁচু থেকে পড়লে আমি কি আর আস্ত থাকতাম? আবার তুমি যদি আমাকে লাঠি দিয়ে ঠেলার বুদ্ধিটা না দিতে, তাহলে হয়তো এই শীতের মধ্যে ওখানেই আটকে থাকতে হতো। ধন্যবাদ তাসনুভা। জীবনটা বাঁচল!