আমার নাম জিয়ান। সত্যিই বলছি জিয়ান। আরে না না, ডোরেমনের ‘জিয়ানের’ কথা বলছি না। সন্দেহ থাকলে আমার বন্ধুদেরই জিজ্ঞেস করে দেখো না। কিন্তু কেউ কি জানো, আমার নাম জিয়ান কেন হলো? যখন আমার বয়স দুই কি আড়াই তখন কিছু বুঝতাম না।
আব্বু-আম্মুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে। সেখানে একটি হোটেলে ছিলাম বেশ কিছুদিন। তো আমি একদিন না বুঝে, সবার আড়ালে কীভাবে যেন হোটেল থেকে বের হয়ে যাই একা একা। তখন আমার মা-বাবা তো প্রায় পাগল হয়ে গেলেন খুঁজতে খুঁজতে। পরে জানতে পেরেছি, তাঁরা নাকি পুলিশ, পত্রিকা অফিসহ সব জায়গায় খুঁজেছেন। তার পরও আমাকে পাননি। শুনেছিলাম, আম্মু নাকি জ্ঞান হারিয়েই ফেলেছিলেন। ঠিক তার পরদিন ‘জিয়ান’ নামে একটি লোক আমাকে এক গির্জার পাশে খুঁজে পান। আমি নাকি খুব কাঁদছিলাম। তাই আমার মা-বাবা কৃতজ্ঞতার জন্য আমার নাম বদলে জিয়ান রাখলেন। আমার খুব ইচ্ছে সেই লোকটির সঙ্গে একবার দেখা করার। তাঁকে ধন্যবাদ দিতে চাই আমাকে উদ্ধারের জন্য। তাই আমি সবাইকে বলছি, কেউ যেন কখনো একা একা ঘর থেকে বের হয়ে না যাও।