আনা ফ্রাঙ্ককে নিয়ে লেখা ছাপানোর অনুরোধ
প্রিয় কিআ,
সাধারণত আমার জন্মদিনে আমি কারও কাছেই কোনো আবদার করি না। তবে তোমার কাছে না করলেই নয়। এর আগের চিঠিতে ছোটখাটো একটা আবদারের ফর্দ অবশ্য তোমায় পাঠিয়েছিলাম। তবে এবারের আবদারটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো ভাবছ, এই মেয়ে শুধু আবদারের ঝুড়ি নিয়েই কেন চিঠি পাঠায়? কী আর করার আছে বলো তো! আমার আবদারগুলো মূলত প্ল্যাকার্ড তুলে হরতাল করে। তারা আমার মস্তিষ্কে কারফিউ জারি করে। তাদের কোলাহলে যে স্লোগানটা বেশি শুনেছি, তা হলো:
কিআআআ, যদি আনা ফ্রাঙ্ককে নিয়ে না লেখো
তুমি, তবে গুঁড়িয়ে দেব ঢাকা বারো শ পনেরো।
কী ডেঞ্জারাস স্লোগান, ভাবতে পারো! তাই প্লিজ, তুমি আনা ফ্রাঙ্ককে নিয়ে একটা ফিচার ছাপো। আনার জন্ম যে পৃথিবীর জনসংখ্যায় নিছকই একটা সংখ্যা যোগ হওয়ার ঘটনামাত্র, তা ভুল প্রমাণ করতে কি তাঁর ডায়েরিটাই যথেষ্ট নয়? আ ডায়েরি অব আ ইয়াং গার্ল নিশ্চয়ই পড়েছ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত নেদারল্যান্ডসের ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে আসা বিস্ময় বালিকার জীবন, যা কখনো আনন্দমুখর, আবার কখনো ম্রিয়মাণ। তাঁর জীবন সম্পর্কে আমাদের সবারই জানা উচিত। আর এর প্রধান ও অন্যতম উপায় হলে তুমি। হোক না একটু সংক্ষেপে।
[বি. দ্র. এপ্রিলে তো আমার জন্মদিন। কিন্তু জুনে, অর্থাৎ আনা ফ্রাঙ্কের জন্মদিনের মাসে যদি তাঁকে নিয়ে ফিচার না ছাপো, তবে আমার আবদারের দলবল নিয়ে কিন্তু কারওয়ান বাজার ঢাকা-১২১৫–তে হানা দেব।]
ইচ্ছা
অষ্টম শ্রেণি, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম
কিআ: খুব সুন্দর ইচ্ছা। আনা ফ্রাঙ্ক অবশ্যই ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র। আনাকে নিয়ে আমরা আগেও লিখেছি। আবারও লিখব। সুন্দর চিঠি লিখে তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। ভালো থেকো।