কিআড্ডা কেন শুধু ঢাকায় হয়

৯৯তম কিআড্ডা শেষে সাবকনসাসের সঙ্গে কিশোর আলোর বন্ধুরাছবি: আব্দুল ইলা

প্রিয় কিআ,

খুব যত্ন করে চিঠিটা লিখছি। আজ ৭ তারিখে কিআ কিনলাম। কেনার সঙ্গে সঙ্গে আমি আগে দেখছি তুমি আমার চিঠি ছেপেছ কি না। দুর্ভাগ্যবশত তুমি ছাপাওনি। আমার মনে হয় ই–মেইলে আমার চিঠি পৌঁছায় না, তাই এবার হাতে-কাগজে লিখলাম, নিখুঁত করে লেখার চেষ্টা করছি। একটু হয়তো গোলমাল হতে পারে (চিঠিটা আমার বিজ্ঞান- প্লান্টি জগৎ পড়া বাদ দিয়ে লিখছি)। তোমাকে কিনে আমি রাস্তায়ই পড়ে ফেলেছিলাম। দেখলাম, করোরেশন স্কুল বা খুলনা থেকে কেউ চিঠি পাঠায়নি, আমি মাকে বললাম। মা বলল, হয়তো কেউ লিখেছে, তুমি ছাপাওনি। বাসায় এসে হঠাৎ দেখি কিআতে আমার স্কুলের নাম লেখা। হয়তো মনের ভুল। আবার আমি সব পড়লাম, দেখলাম নুসরাত জাহান ‘অঙ্ক’ কবিতা লিখেছে। দেখে আমি খুব খুশি হলাম। আমার পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ো, আমি প্রাতঃ বিভাগে আর নুসরাত মনে হয় দিবা বিভাগে। তাই ওকে আমি মনে হয় দেখিনি, আমার স্কুলের নাম যখন তোমার পাতায় লেখা থাকে, তখন আমার খুব আনন্দ হয়।

আমি ‘কিআড্ডায়’ অংশ নিতে চাই, কিন্তু আমি যে ঢাকা থেকে দূরে থাকি। কী আর করা, তুমি সব সময় সব অনুষ্ঠান ঢাকায় করো কেন? ঢাকা রাজধানী বলে? তোমার উচিত সব জায়গায় যাওয়া। আরও একটা কথা, তোমার কারণে মাস ভাড়াতাড়ি শেষ হয়, তোমাকে এক রাতে পড়ে ফেলি, তারপর অপেক্ষার থাকি আবার কবে নতুন সংখ্যা হাতে পাব। উত্তেজনার কারণে মাস তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে! আর পরীক্ষা তাড়াতাড়ি আমাকে খেতে আসছে। বিদায়।

জারিন আহমেদ

ষষ্ঠ শ্রেণি, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা

কিআ: ই–মেইলে পাঠানো তোমার চিঠিও আমি পড়েছি। ই–মেইলে চিঠি পাঠালে ছাপা হয় না—এমন ভেবো না। কোন মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে, সেটা বড় বিষয় নয়, চিঠিটা কেমন—সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। চিঠির জন্য অনেক ধন্যবাদ। কিআ দ্রুত শেষ হয়ে গেলে তুমি কিআর অনলাইন ভার্শন পড়তে পারো। ওখানে প্রতিদিন নতুন লেখা প্রকাশিত হয়। আরেকটা কথা, তোমরা যারা ঢাকার বাইরে থাকো, তাদের জন্য আমরা যদি একটা অনলাইন কিআড্ডা করি, কেমন হয়? তোমরা কি অংশ নেবে? কীভাবে বা কখন করলে ভালো হয়, মতামত জানিয়ো। তাহলে আমরা খুব দ্রুতই এটা শুরু করতে পারব।

আরও পড়ুন