বিড়ালের নাম কী রাখা যায়?

অলংকরণ: সব্যসাচী চাকমা

প্রিয় কিআ,

অনেক পাঠক তোমাকে চিঠি পাঠিয়ে বলে, চিঠি না ছাপালে তোমার সঙ্গে আর কথা বলবে না কিংবা কিআ সারা জীবনের জন্য পড়া বন্ধ করে দেবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এ রকম করবে? তোমার কষ্ট কেউই বোঝে না? দিনে কতগুলো চিঠি পড়তে হয় তোমার। কিন্তু চিন্তা করো না। আমি তোমার কষ্ট বুঝি। কারণ, আমি জানি যে তুমি আমার চিঠি না ছাপালেও তুমি আমাদের সবার চিঠি পড়ো। আমার চিঠি ছাপালে কী আর না ছাপালে কী। তুমি আমার চিঠি পড়ো এটা জেনেই আমি খুশি। আরেকটা কথা, আমাদের একটা বিড়াল আছে। খুবই সুন্দর দেখতে। বলো তো কী নাম ‌রাখা যায়? ভালো থেকো, সুস্থ থেকো।

আরিবা এশাল
পঞ্চম শ্রেণি, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাভার

কিআ: তুমিই একমাত্র বুঝলে আমার দুঃখ। এটা ঠিক যে পাঠকদেরও অনেক অভিমান থাকে। ওরা তো আর সত্যি সত্যি কিআ পড়া বা চিঠি পাঠানো বন্ধ করে দেয় না। হুমকি দেয় আরকি। এটা কোনো ব্যাপার না। তবে আমি সব চিঠি পড়ি, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বিড়ালের নাম কী দেওয়া যায়, তা তো মাথায় আসছে না। আমার নামে নাম রেখে দেখবে নাকি? তাহলে সব সময় কিআ তোমার আশপাশেই থাকবে। জানিয়ো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

তোমাকে আমি পড়া শুরু করেছিলাম ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। তোমার প্রতিটি সংখ্যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ফেব্রুয়ারি সংখ্যাটা চমৎকার লেগেছে। আমিও চশমিসদের মধ্যে একজন। চশমা পরি ছোটবেলা থেকে। চশমা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাও কম নয়। ভালো স্মৃতি যেমন আছে, তেমনি আছে খারাপ স্মৃতিও। চশমা নিয়ে মূল সমস্যা হলো, সব সময় চশমা আমাকে ফাঁকি দিয়ে বারবার পালিয়ে যায়। আমি চাই, তুমি আমার এই চশমাকে যেন একটু বলে দাও বারবার পালিয়ে না যেতে। আর হ্যাঁ, আমার জাপানিজ অ্যানিমে খুবই ভালো লাগে। আমি চাই, তুমি এ বিষয়ে বেশি বেশি করে ফিচার ছাপো।

রুবাবা যাহিন
ষষ্ঠ শ্রেণি, উইল্‌স লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

কিআ: অ্যানিমে নিয়ে তো আমরা মাঝেমধ্যেই ফিচার ছাপি। একটা বিভাগই আছে ‘অ্যানিমে কথন’ নামে। তারপরও আমরা চেষ্টা করব আরও লেখা ছাপতে। তুমি নির্দিষ্ট কোনো অ্যানিমে নিয়ে লেখা পড়তে চাইলে জানাতে পারো। আবার লেখাও পাঠাতে পারো। ভালো থেকো।

প্রিয় কিআ,

জানো, কিআ, আমি না অনেক সুন্দর করে ক্যালিগ্রাফি করতে পারি। বসন্তের উপহার হিসেবে তোমার নামটাও ক্যালিগ্রাফি করে দিলাম। কেমন হয়েছে? ভালো থেকো আর বেশি করে খাবার খেয়ে মোটা হও, নয়তো গুড্ডুবুড়ার মতো তোমারও ব্রেন‌ শুকিয়ে যাবে!

রামিস সুবহা
অষ্টম শ্রেণি, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা

কিআ: দারুণ হয়েছে তো। খুব সুন্দর। তুমি ক্যালিগ্রাফি চালিয়ে যাও। শুভকামনা রইল। ভালো থেকো।