কিআ পাঠকের আবদার

প্রিয় কিআ,

সেই ২০১৮ থেকে পড়ে আসছি আেমাকে। আজ পর্যন্ত চিঠি লিখিনি। তবে এবার সাহস করে লিখেই ফেললাম! তুমি আমার জীবনে নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নের চাবিকাঠি, জেনে রাখো। কত কিছু যে শিখেছি তোমার কাছে, ভাবতেও পারবে না।

পুরোনো পাঠক হিসেবে তোমার কাছে আমার প্রচুর আবদার। শুনবে? বলেই ফেলি।

১) যে ম্যাগাজিন পড়ে আমি বেড়ে উঠেছি, সেই ম্যাগাজিনের সঙ্গে অবশ্যই সরাসরি যুক্ত হতে চাই। বিশেষ করে যেহেতু আমি স্কুলজীবনের শেষে এসে পড়েছি, আমাকে কি কিআ স্বেচ্ছাসেবক কিংবা বুক ক্লাবের সদস্য হওয়ার নিয়মাবলি বলা যায়?

২) আমার হাতের লেখা অনেক বাজে! এখন আস্তে-ধীরে লিখেছি চিঠিটা, তাই হয়তো পড়তে পারছ, কিন্তু এমনিতে অনেক বাজে। হাতের লেখা ভালো করা নিয়ে কি একটা সংখ্যা ছাপাতে পারবে? কিংবা ফিচার?

৩) আমি আঁকাআঁকিতে মোটামুটি পারদর্শী, কিন্তু ভীষণ লাজুক! কারণ, তোমার জন্য আমি প্রতিবারই জন্মদিন উপলক্ষে কিছু একটা করি, কিন্তু পাঠানোর সাহস পাই না। এ বছরও করেছি। সেই ছবি তোমার কাছে পাঠালে তুমি কি ছাপবে?

৪) আত্মোন্নয়ন নিয়ে প্রতি সংখ্যাতেই লেখা থাকা চাই আর প্লিজ, এআই আর্ট ব্যবহার থেকে সদা বিরত থাকবে। দরকার পড়লে কোনো পাঠকের আঁকা ছাপবে, কিন্তু এআইকে ‘না’ বলো।

বাপ রে কী বিশাল চিঠি! বিশাল বলে কি আমার চিঠি ছাপানো হবে না? একটু ছোট করে হলেও ছাপিয়ে দিয়ো, কেমন? অনেক অনেক ভালোবাসা রইল।

নায়লা বিনতে খুরশীদ

নবম শ্রেণি, শহিদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ, ঢাকা

কিআ: এত সুন্দর চিঠি তো ছোট করা গেল না। উত্তরটা বরং ছোট করেই দিই। তুমি অবশ্যই কিআর সঙ্গে যুক্ত হতে পারো। ঢাকায় যেহেতু থাকো, চলে এসো একদিন। আর কিআড্ডা তো আছেই। আসতে পারো সেখানেও। তোমার হাতের লেখা মোটেই বাজে নয়, বেশ ভালো। তবু হাতের লেখা নিয়ে একটা ফিচার হতেই পারে। তোমার আঁকা ছবিগুলো পাঠিয়ে দাও। প্রাসঙ্গিক হলে অবশ্যই ছাপব। আত্মোন্নয়ন নিয়েও লেখা থাকবে। এআই পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে না, তবে কমিয়ে এনেছি কিন্তু। শুভকামনা রইল তোমার জন্য।

আরও পড়ুন