স্কুল ছেড়ে বন্ধু চলে গেছে
প্রিয় কিআ,
আমি ভালো নেই। কেন জানো? আমার বেস্ট, ক্লোজ যা–ই বলো, সেই বন্ধু তানভীর স্কুল ছেড়ে চলে গেছে। প্রথম প্রথম খুব একটা কষ্ট লাগত না আমার। কিন্তু এখন কষ্টটা অনুভব করতে পারছি। অনেকে হয়তো ভাবতে পারে যে স্কুল ছেড়ে গেলে সমস্যা কী? এলাকায় দেখা হবে। না, আমার সঙ্গে সেটাও হলো না। বরং ও এলাকা ছেড়ে, স্কুল ছেড়ে, এমনকি আমাকে ছেড়েও চলে গেল শেরপুরে। এখন বুঝতে পারছি, একাকিত্ব একটা মানুষকে কতটা কষ্ট দেয়। এবার হয়তো আমার সঙ্গে কেউ গান শুনবে না, হয়তো কেউ আমার সঙ্গে ঘুরবে না, হয়তো আমার কাছ থেকে কেউ তোমাকে নিয়ে পড়বে না!
সামিন তাহসীন
অষ্টম শ্রেণি, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ময়মনসিংহ
কিআ: শহর কিংবা স্কুল ছেড়ে বন্ধু চলে যাচ্ছে—এই অনুভূতি খুবই কষ্টের। তোমার কষ্ট পাওয়াই স্বাভাবিক। তবে আশার কথা এই যে ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর খুব একটা দূরে নয়। মাঝেমধ্যেই তোমরা দেখা করতে পারবে। শেরপুরে খুব সুন্দর জঙ্গল আছে। তানভীর যখন জায়গাগুলো চিনে ফেলবে, তখন তোমরা ঘুরেও বেড়াতে পারবে। বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো, এটা কোনো দূরত্ব মানে না। ৬৮ কিলোমিটার তো কোনো দূরত্বই নয়। তোমাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘায়িত হোক। শুভকামনা দুজনের জন্য।