অনেক গান আছে, যেগুলো তোমার শুনতে ভালো লাগে। আবার এমন অনেক গান আছে, যেগুলো তোমার শুনতে ভালো লাগে না। আসলে সমস্যাটা তোমার নয়, তোমার বয়সের।
মনে করো, তুমি পড়ো পঞ্চম শ্রেণিতে। এখন অনেক গান শুনতে ভালো লাগে তোমার। আবার এমন গান শুনতেও ভালো লাগে, যেগুলোর অর্থ বোঝো না। কিন্তু তোমার বড় ভাই যে গানগুলো শোনে, সেগুলো হয়তো শুনতে তোমার ভালো লাগে না। কিন্তু তুমি যখন ক্লাস নাইন-টেনে উঠবে, তখন দেখবে সেই গানগুলো শুনতে তোমার ভালো লাগবে। তখন তোমার পঞ্চম শ্রেণিতে ভালো লাগা গানগুলো হয়তো আর ভালো লাগবে না। একইভাবে যখন তুমি আরও বড় হবে, তখন কিছু গান ভালো লাগবে, যেগুলো এখন ভালো লাগে না। ব্যাপারটা আরও সহজ করে বলি।
একটা গান তোমার তখনই ভালো লাগে, যখন তোমার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর সঙ্গে মিলে যায় গানের কথাগুলো। এখন কোনো একটা গান শোনা অনেক সহজ। অনলাইনে তুমি যে গানটা শুনতে চাও, সেটা লিখে সার্চ দিলে চলে আসবে। কিংবা তুমি যে ধরনের গান শুনতে চাও, সেই গানগুলো চলে আসবে। আবার যখন রিলস দেখো, তখন যদি কোনো গান ভালো লাগে, সেটা আমরা ইউটিউবে খুঁজে পুরোটা শুনি। খেয়াল করলেই দেখবে, তোমার চেয়ে বয়সে যারা বড় বা ছোট, তাদের সেই গান ভালো লাগছে না। ব্যাপারটা পরীক্ষা করার জন্য তোমার এখন যে গানগুলো ভালো লাগছে, সেগুলো একটা ডায়েরিতে লিখে রাখো। ১০ থেকে ১৫ বছর পর সেই গানগুলো তুমি আবার শুনে দেখবে, তোমার অতটা ভালো লাগছে না। অথবা তুমি যদি বড় হয়ে থাকো, তাহলে ছোটবেলায় যে গানগুলো শুনতে, তোমার ভালো লাগত, সেগুলো এখন শোনো।
খেয়াল করলে দেখবে, তোমার মা-বাবা যে গানগুলো শোনেন, সেগুলো তোমার খুব একটা ভালো লাগে না। আবার তোমার দাদা-দাদি যে গানগুলো শোনেন, সেগুলো তুমি শুনতেই চাও না।
কোনো একটা গান যদি তোমার ভালো না লাগে, ধরে নিতে পারো সেই গান তোমার বয়সের উপযোগী নয়। অতীতে হয়তো তোমার গানটা ভালো লাগত বা ভবিষ্যতে তোমার গানটা ভালো লাগবে। গানের সঙ্গে মানুষের মনের গভীর যোগসূত্র আছে। তাই মানসিক অবস্থা বুঝে গান নির্ধারণের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
মো. মিনহাজুল ইসলাম
একাদশ শ্রেণি, চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ, নোয়াখালী