আমাকে নিয়ে রীতিমতো মজা করছে আম্মু

অলংকরণ: নাইমুর রহমান

প্রিয় কিআ,

বিষয়টা খুবই সিরিয়াস! তোমাকে সামলাতেই হবে। আমি তোমার মোটামুটি পুরোনো পাঠক। আগে তোমাকে চিঠি দেব দেব করেও দেওয়া হতো না। কিন্তু গত তিন মাস আমি তোমাকে টানা চিঠি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত তুমি সেগুলোর কোনোটাই ছাপাওনি। তাতে অবশ্য আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো আমার আম্মুর। সে ভাবে, আমি ভালো করে চিঠি লিখতে পারি না। আমি নাকি সব আজগুবি কথা লিখি! তাই তুমি ছাপাও না। আগে বিষয়টা অত পাত্তা দিতাম না। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমাকে নিয়ে রীতিমতো মজা করছে আম্মু। বিষয়টা অদ্ভুত হলেও সত্যি। এবার তুমি কিছু একটা করো! প্লিজ।

একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, ফেব্রুয়ারি সংখ্যার প্রচ্ছদটা দারুণ ছিল। দেখলেই মনে এক দারুণ উদ্দীপনা জাগ্রত হয়। সংখ্যাটাও অনেক ভালো ছিল। তবে নতুন উপন্যাস ছাপানোর অনুরোধটা কিন্তু রয়েই গেল। ভালো থেকো!

ইসরাত জান্নাত

নবম শ্রেণি, নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নরসিংদী

কিআ: জটিল সমস্যা। উত্তরটা আসলে তোমার আম্মুকেই দেওয়া উচিত। তাই তাঁর উদ্দেশে লিখছি:

প্রিয় আন্টি, ইসরাত খুব সুন্দর করে আমাদের চিঠি পাঠিয়েছে। তা–ও এক মাস বা দুই মাস নয়, টানা তিন মাস। চিঠিতে কোনো ভুল হয় কি না, এ নিয়ে ইসরাত অনেক টেনশনে ছিল, কিন্তু কোনো ভুল হয়নি। এমনকি বানান ভুলও নয়। আমরা চিঠিগুলো পড়লেও ছাপতে পারিনি। এ জন্য আপনি ইসরাতকে নিয়ে মজা করছেন, এটা কি ঠিক? ও মোটেই আজগুবি কথা লেখে না। ওর লেখা খুবই সুন্দর।

প্রিয় ইসরাত, চিঠি তো তো ছাপা হয়ে গেল। আগের চিঠিগুলো যে আমি পড়েছি, সেটার প্রমাণও নিশ্চয়ই পেয়েছ। এখন, তোমার আম্মুর কাছে পুরস্কার হিসেবে ভালো ভালো খাবার দাবি করো। ভালো থেকো।

আরও পড়ুন