আজ আমাদের বাড়িতে সকাল থেকেই খুব লোকসমাগম আর ব্যস্ততা। আজ আমার বড় আপুর বিয়ে। হঠাৎ ভীষণ চেনা একটা কণ্ঠ বলে উঠল, ‘কিরে, আজ তো আমি চলে যাব। তুই খুশি, তা–ই না?’ কোনো উত্তর দিলাম না।
দুপুরে খুব খাওয়াদাওয়া হলো। ভালোই লাগছে বলতে গেলে। এদিকে সব আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে। হঠাৎ দেখলাম, লাল টুকটুকে শাড়ি পরা কোনো মেয়ে আমার রুমে বসে আছে। পরক্ষণেই চিনতে পারলাম সেই চিরচেনা মায়াবী মুখটা। আপু আমায় জিজ্ঞাসা করল, ‘কেমন লাগছে আমায়? বল তো...।’ আমি কৌতুক করে বললাম, ‘ভূতের মতো লাগছে।’ কিন্তু আপু আমার এ কথার কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বলল, ‘আচ্ছা, আমি চলে গেলে তোর কষ্ট হবে না?’ কথাটা আমায় স্তব্ধ করে দিল।
তখনই বাবা আপুকে ডাকল, বর নিয়ে যাবে এখন, বউকে সঙ্গে করে। তাই বাবা ডাকতেই আপু আমার উত্তর না শুনেই চলে গেল। আমার কী? আমি তো ভালোই আছি আর থাকবও। এই ভেবে আমিও গেলাম মূল অনুষ্ঠানে। কিন্তু এবার আমার সব আবেগ যেন দুই চোখ বেয়ে নেমে এল। আপু কান্না করছে...! আমার কাছে এগিয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল আপু। কারও মুখে কোনো কথা নেই, সব যেন চোখ বেয়ে নেমে এসেছে। শুধু না–বলা একটা সত্যি কথা আজ বলতে ইচ্ছা করছে খুব। আপু, তোমাকে অনেক ভালোবাসি।