গুপ্তধন—কিআর পুরোনো সংখ্যা
প্রিয় কিআ,
তোমার সঙ্গে আমার টুকটাক হালকা পরিচয় ২০১৯ সাল থেকে, কিন্তু তুমি আমার বন্ধু হয়েছ ২০২৩ সালে। বন্ধুত্ব হওয়ার পেছনেও একটা ঘটনা আছে। ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা শেষে আমি তোমাকে কিনেছিলাম। ওই সংখ্যা পড়ে তোমাকে পড়ার আরও কৌতূহল হলো। বইয়ের দোকানে নভেম্বর সংখ্যা পেলাম। তাতে আমার মন ভরল না। চলে গেলাম পুরোনো বইয়ের দোকানে। ২-১টা দোকান দেখার পরই পেয়ে গেলাম গুপ্তধন—কিআর পুরোনো সংখ্যা। দোকানদার প্রথমে ১০টি, তারপর ১৫টি—পুরোনো সংখ্যা বের করতে করতে ৫০টি কিআ বের করে ফেললেন। কোনটা রেখে কোনটা নেব, বুঝতে পারছিলাম না। হাতে টাকা ছিল পর্যাপ্ত, আমি ৫০টি কিআই কিনে ফেললাম। এরপর বাসায় ফিরতে সমস্যাই হলো। যা-ই হোক, রিকশাভাড়া করে বাসায় ফিরলাম। এই ঘটনার মাধ্যমেই তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব মজবুত হলো। আমি চাই, সব সময়ই যেন এই বন্ধুত্ব অটুট থাকে। তুমি ভালো থেকো।
নিসর্গ শবনম
একাদশ শ্রেণি, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা
কিআ: দারুণ তো! কোন দোকান বলো তো, কিছু সংখ্যা আমার কাছেও নেই। কিনতে হবে। আসলে পুরোনো বইয়ের দোকানে ঘোরা কিন্তু একটা অ্যাডভেঞ্চারের মতো। হুটহাট এমন সব বই খুঁজে পেলে মন ভালো হয়ে যায়। তোমারও এমন অভ্যাস আছে জেনে ভালো লাগছে। আর এই যে তোমরা যারা প্রতি মাসেই জিজ্ঞেস করো পুরোনো সংখ্যা কীভাবে পাব, কোথায় পাব, তাদের বলছি—নিসর্গের এই চিঠিই হতে পারে তোমাদের উত্তর। অনেক ধন্যবাদ নিসর্গ। আশা করি কলেজ পেরিয়ে গেলেও তুমি আমাদের ভুলে যাবে না। ভালো থেকো।