আমি সাঁতার শিখে গেছি

সাঁতার শিখতে লাইফ জ্যাকেট পরে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে নেমেছে শিশুটি। দক্ষিণ লক্ষণখোলা, নারায়ণগঞ্জ, ১৬ জুলাই।ছবি: দিনার মাহমুদ

প্রিয় কিআ,

ঈদের ছুটি শেষ। আজ বিকেলে নানুবাড়ি থেকে বাসায় চলে এসেছি। মনটা খুব খারাপ, তাই তোমাকে লিখতে বসেছি (যদিও তুমি আমার চিঠি কখনো ছাপাও না)। জানি, অনেক দেরি হয়ে গেছে আর তুমি যে চিঠি ছাপবে, সেই আশাও রাখছি না। এবার নানুবাড়িতে খুব মজা হয়েছে, জানো! এবার আমি সাঁতার শিখে গেছি! আমি আমার সব কাজিনকে তোমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি, ওরা তোমাকে খুব পছন্দ করেছে। সবাই মিলে একসঙ্গে লুকোচুরি, জুতাচুরি আর বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবলও খেলেছি! আজ অনেক খারাপ লাগছে। জানি না, আবার কখন একসঙ্গে হব। আমাদের দেখা হয় শুধু ঈদ আর ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষার পর; কিন্তু ডিসেম্বর আসতে আরও অনেক দেরি। তত দিন না হয় তোমাকে পড়ে পড়েই কাটিয়ে দেব! কী বলো?

মালিহা

অষ্টম শ্রেণি, ক্যামব্রিয়ান স্কুল, ফেনী

কিআ: স্বপ্নের মতো ছুটি কাটানো বলতে যা বোঝায়, তুমি তা-ই করেছ। এমন ছুটি কাটানোর পর আসলে আরেকটা লম্বা ছুটি দরকার। তবে সাঁতার শিখে দারুণ একটা কাজ করেছ। সাঁতার শেখা সবার জন্য জরুরি। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তায় আজকাল যেভাবে পানি উঠছে, সাঁতার না শিখলে বিপদ হতে কতক্ষণ! ডিসেম্বর পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করো। দেখি, তত দিন গল্প-ফিচার দিয়ে তোমার মন ভালো রাখতে পারি কি না।

আরও পড়ুন