ময়মনসিংহে আমন্ত্রণ
প্রিয় কিআ,
তুমি চিকন হয়ে গেছো এই জ্বালা অনেক কষ্টে হজম করেছি, কিন্তু এখন দেখি নতুন জ্বালা শুরু হয়েছে। গত সংখ্যায় তুমি ১৩টা পৃষ্ঠা ভর্তি করে বিজ্ঞাপন ছেপেছ! ১টা, ২টা বাড়তে বাড়তে ১৩টা পৃষ্ঠা হয়ে গেল! এটা তো খুবই আশঙ্কার কথা! কবে জানি তোমার নাম কিআ থেকে বিআ (বিজ্ঞাপন আলো) হয়ে যায়! ভাবো তো, এই পাতাগুলোয় আরও কত–কী ছাপানো যেত। মানছি, আমরা বেশির ভাগ পাঠকই চশমা পরি, কিন্তু আমরা তো একেবারে অন্ধ হয়ে যায়নি যে ইয়া বড় বড় করে বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে দেখাতে হবে! তোমার স্পনসরদের বলে দিয়ো যে তোমার অন্তরাত্মারা বলেছে, বিজ্ঞাপন ছোট করে ছাপাতে। কারণ, তারা এখনো চোখে দেখতে পায়। আরেকটা কথা, হাতে আর একটা বছর, এরপর স্কুলজীবন শেষ। আমার এক চিঠির উত্তরে একবার বলেছিলে যে কিআর কোনো আয়োজন নিয়ে ময়মনসিংহে আসার ভালো সম্ভাবনা আছে। তাই বলছিলাম, একটু তাড়াতাড়ি আমার শহরটায় আসা যায় কি? এর আগে না আমিই তোমার শহরের বাসিন্দা হয়ে যাই! ভালো থেকো।
পুনশ্চ: প্রচ্ছদগুলো এখন ভালো হচ্ছে, আরেকটা প্রশ্ন, গত সংখ্যায় কি কোনো পাঠকের পাঠানো গল্প ছাপানো হয়েছে?
ফাবিহা হামিদ
নবম শ্রেণি, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
কিআ: আসলে পরীক্ষা আর বিজ্ঞাপনের চাপ সামলানো খুব কঠিন। তারপরও তোমার চিঠিটা আমরা সব স্পন্সরদের কাছে পাঠিয়ে দেব। দেখা যাক, এতে কোনো কাজ হয় কিনা। প্রচ্ছদগুলো পছন্দ হচ্ছে জেনে ভালো লাগল। এ সংখ্যার প্রচ্ছদ কেমন লেগেছে জানিয়ো। আর গত সংখ্যায় পাঠকের কোনো গল্প ছাপা হয়নি। তবে খুব দ্রুতই পাঠকের লেখা নিয়ে সংখ্যা করব আমরা। তোমরা গল্প পাঠাতে থাকো।