প্রিয় কিআ,
শুভ জন্মদিন। আশা করি তোমার দশম জন্মবার্ষিকী খুব ভালো কাটবে। গত বছরের ঠিক এই অক্টোবর মাসের তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয়। এর পর থেকেই আমি তোমার নিয়মিত পাঠক। তোমাকে পড়তে আমার কী যে ভালো লাগে! আমার সব সময়ই তোমাকে চিঠি লিখতে ইচ্ছা করত। তবে কখনো তোমাকে লেখা পাঠাইনি। কিন্তু এবার যেহেতু তোমার জন্মদিন, তাই সাহস করে তোমাকে চিঠি লিখেই ফেললাম। তার সঙ্গে তোমার জন্য দুটি বুকমার্কও বানালাম। কেমন লেগেছে জানিয়ো।
জান্নাতুল ফেরদৌস
ষষ্ঠ শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। কিআ পড়তে তোমার ভালো লাগে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। কিন্তু বুকমার্ক দুটি তো পেলাম না। বোধ হয় আমাদের চিঠি বাছাই করার কাজে নিয়োজিত রোবট ভুল করে সেটাকে অন্য কিছু ভেবেছে। তুমি মন খারাপ কোরো না। তুমি যে কষ্ট করে আমাদের জন্য বুকমার্ক বানিয়েছ, এ জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআ,
সেপ্টেম্বর সংখ্যাটা খুব ভালো লেগেছে। ‘সব সময় ভালো থাকব এবং অন্যকে ভালো রাখব’, এই বিষয়টাকে আমি আমার জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে মানি। এবারের কিআর প্রচ্ছদ রচনায় ‘ভালো থাকি, ভালো রাখি’ শিরোনামটা দেখে তাই খুব খুশি হয়েছিলাম। অন্য লেখাগুলোও ভালো লেগেছে। বিশেষ করে স্কাউট জাম্বুরি নিয়ে লেখাটা। এখন আমার এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। তার মধ্যেই তোমাকে লিখছি, পরীক্ষার ফল যেন ভালো হয়, সে জন্য দোয়া করে দিয়ো তো প্লিজ।
মালিহা তাবাস্সুম
এইচএসসি পরীক্ষার্থী, শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজ, রাজশাহী
কিআ: তুমি যেহেতু ‘সব সময় ভালো থাকব এবং অন্যকে ভালো রাখব’, এটাকেই মূলমন্ত্র হিসেবে মানো, আমার বিশ্বাস তোমার পরীক্ষার ফল খুব ভালো হবে। অনেক শুভকামনা তোমার জন্য। ভালো থাকা এবং ভালো রাখার মূলমন্ত্র মেনে চলা অব্যাহত রাখো।
প্রিয় কিআ,
প্রথমেই জানাতে চাই, জন্মদিনের এত্ত এত্ত শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন, সঙ্গে ভালোবাসা তো ফ্রি-ই। মজার ব্যাপার কি জানো, তোমার আর আমার জন্মদিন একই সঙ্গে, একই মাসে। তবে পার্থক্যটা হলো, তোমার জন্মদিন ১ অক্টোবর আর আমারটা ২০ অক্টোবর। যাই হোক, সেপ্টেম্বর সংখ্যাটা দুর্দান্ত ছিল। বিশেষ করে, প্রচ্ছদ রচনাটা। লেখাটা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। প্রায় সময়ই দেখি অনেক পাঠকেরই বলে তোমাকে একটু মোটা হতে। অবশ্য ভালোবাসে বলেই তো বলে সবাই। কিন্তু আমি বলি কী, তুমি যেমন আছো, তেমনই ভালো। কিশোর আলো মোটা হোক বা চিকন, তা আজীবন আমাদের কাছে মূলব্যানই থাকবে। চিঠি মানুষ একটু গুছিয়ে লেখে। আর আমাকে দেখো, একেবারে অগোছালো লিখেছি চিঠিটা। এত্ত এত্ত চিঠি খাওয়ার পরেও যদি তোমার পেটে একটু জায়গা থাকে, তাহলে আমার অগোছালো চিঠিটা খেতে ভুলো না। ভালো থেকো।
অনন্যা বিশ্বাস
সপ্তম শ্রেণি, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: ধন্যবাদ অনন্যা। খুবই গুছিয়ে চিঠিটা লিখেছ তুমি। প্রচ্ছদ রচনাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে আশ্বস্ত হলাম। তার মানে এ রকম লেখা আরও ছাপা যাবে সামনে। তোমরা এমন আর কী লেখা পড়তে চাও, জানবে। ভালো থেকো।