চশমা সংখ্যার প্রভাব
প্রিয় কিআ,
আমি ২০১৬ সাল থেকে তোমাকে পড়ছি আর এখন ২০২৪ সাল। কতটা সময় ধরে তোমাকে পড়ছি বুঝতে পারছ? যখন কিআ পড়তাম; তখন দেখতাম, কত মানুষ তোমাকে চিঠি লিখছে। তাই আমারও ইচ্ছা হলো যে তোমাকে চিঠি লিখব। তাই ২০১৯ সালে তোমাকে চিঠি লিখেও ফেললাম এবং সেটা ই-মেইলের মাধ্যমে তোমাকে পাঠিয়েও দিলাম। কিন্তু তুমি সেটা ছাপালেই না! কত কষ্ট পেয়েছিলাম জানো? তবে রাগ করলেও এখনো ‘নতুন কিআ’ এলে তার গন্ধ শুঁকে আনন্দ পাই। জানি না, এই চিঠি ছাপাবে কি না। তবে ছাপালে অনেক খুশি হব। কারণ, আমার মতো এত পুরোনো পাঠক তুমি হয়তো খুব কমই পাবে।
রোদেলা আমিন
দ্বাদশ শ্রেণি, সফিউদ্দীন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ, গাজীপুর
কিআ: আরে, কী খবর তোমার? সত্যিই, এত পুরোনো পাঠক খুব বেশি নেই। এখনো যে তুমি কিআর সঙ্গে আছ, জেনে খুবই ভালো লাগল। আশা করি, তোমার রাগ কমেছে। তবে চিঠি ছাপা হোক বা না হোক, কিআর সঙ্গে থেকো। ভালো থেকো।
প্রিয় কিআআআআআআ,
কেমন আছওওওওওওও? তুমি জানো, এই মাসের পুরো সময়টাই আমি খুব খুশি। এর কারণ অবশ্য অনেকগুলো, বলতে একটু সময় লাগবে। আমার কিআ যাত্রার প্রথম বর্ষপূর্তি এই ফেব্রুয়ারি মাসে। গত বছরের এই মাসেই আমি প্রথম কিআ পড়তে শুরু করি। আমি জানি, এটা এমন আহামরি কোনো বিষয় নয়, তবে আমার জন্য এটা যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা আমি বলে বোঝাতে পারব না।
আবার এই মাসের ২৩ তারিখে আমার জন্মদিন। আবার এই ফেব্রুয়ারিই ভাষার মাস, বইমেলার মাস। এই মাসে আমার মতো বইপ্রেমীদের অবস্থা তো বুঝতেই পারছ।
এবার বলি তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়ের গল্পটা। ২০২২ সালে আমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে। ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছি। হঠাৎ একদিন ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে এক আন্টির শেয়ার করা একটা পোস্ট চোখে পড়ল। বিষয়টা ছিল ‘জিপিএ–৫ না পাওয়া ব্যর্থতা নয়’—এ রকম। তো পুরো লেখাটা পড়ে এত ভালো লেগেছিল বলার মতো নয়। আমার আবার একটা অভ্যাস আছে। একটা বিষয় পেলে সেটা নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিই, বিভিন্ন জায়গা থেকে সেটা নিয়ে জানতে চাই। তো আমি কিআর ফেসবুক পেজে ঢুকে বিভিন্ন লেখা পড়লাম, ভালো লাগল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর রীতিমতো গবেষণা শুরু হয়ে গেল। এরপর জানুয়ারি মাসে কিআ বের হলো। বিশ্বকাপের প্রচ্ছদ দেখে পছন্দ হয়নি, তাই এড়িয়ে গেলাম। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে হলো ‘চশমা সংখ্যা’। আমি তো পাগল হয়ে গেলাম! (কারণ, আমি ২০১৭ সাল থেকে চশমিশ) আম্মুর কাছে কিআ কিনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরলাম। আমার আম্মু আবার ভালো মানুষ। কেনার পর কিআ পড়ে এত ভালো লেগেছিল, আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। পরের মাস থেকেই পুরোদমে আমার কিআ যাত্রা শুরু হলো (পরে অবশ্য জানুয়ারি মাসেরটাও কিনেছিলাম) দু–তিন মাস পর থেকে লেখা পাঠানো শুরু করলাম, বেশ কয়েকটি তুমি ছেপেছিলে। জানো! আমার ডায়েরিতেও তোমার কথা লিখেছি। আমার জীবনে তোমার অবদান অনেক।
অনেক কথা লিখে ফেলেছি। আজ আর নয়। আসলে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছা করে, কিন্তু বেশি বড় চিঠি ছাপাতে গেলে তুমি মোটা হয়ে যাবে। তুমি তো আবার মোটা হতে রাজি নও। আবার চিঠি না ছাপালে আমি তো রাগ করব। সবার মনই তো রাখতে হবে। তাই না!
রেজোয়ানা আনজুম
অষ্টম শ্রেণি, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, সিলেট
কিআ: ভাগ্যিস ‘চশমা সংখ্যা’টা করেছিলাম, নইলে তো তুমি মুখ তুলে তাকাতেই না কিআর দিকে। ধন্যবাদ তোমার সেই আন্টিকে। নইলে হয়তো তোমার সঙ্গে আমার পরিচয়ই হতো না। তবে তোমার মতো গবেষককেই কিন্তু আমাদের প্রয়োজন, যাদের জানার ইচ্ছা ব্যাপক, যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য খুঁজে বের করতে পছন্দ করে। তুমি যেহেতু অভ্যাসবশত এ রকমই, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য খুঁজে লেখা দিতে পারো আমাদের। তোমার লেখা তো এমনিতেই ভালো, এর সঙ্গে তথ্য যোগ করলেই দারুণ একটা ফিচার হয়ে যাবে। লিখবে নাকি?