প্রিয় কিআ,
কেমন করে চিঠি লিখতে হয়, তা আমি জানি না। আসলে, বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার খাতা বাদে কাউকে কোনো দিন চিঠি লিখেছি বলে মনে পড়ে না। তাই লেখায় ভুলভ্রান্তি হলে মাফ করে দিয়ো। তো যে জন্য চিঠিটা লেখা—
০৩.১০.২০২৩
‘ছাত্ররা তোমাদের জন্য সুখবর! আগামীকাল তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক আসবেন। তোমরা ১০৭ নম্বর অডিটরিয়ামে উপস্থিত থাকবে।’ কথাটা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ইনচার্জ স্যার কি সত্যি বলছেন? না মজা করছেন? না না স্যার তো আর মজা করতে পারেন না। আর তর সইছে না।
০৪.১০.২০২৩
প্রচণ্ড করতালির শব্দ, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ। আনিস কাকু (ভালোবেসে অধিকারবোধে ডাকা শব্দ) অডিটরিয়ামে প্রবেশ করছেন। এ যেন তিনি আসলেন, মুহূর্তেই মন হরণ করে নিলেন। আমি সত্যি দেখছি তো! হ্যাঁ, এ যে আমার কল্পনাকে হারিয়ে দেওয়া বাস্তব। এরপর শুরু হলো আনন্দঘণ্টা। উফ্! গান, ম্যাজিক, কুইজ আর কাকুর চিত্তহরণ করা কথা। পুরোটাই জমে ক্ষীর! আমি শুধু একটাই প্রার্থনা করছিলাম, যেন আনিস কাকুর সঙ্গে কিছু মুহূর্ত ব্যয় করতে পারি। ‘আচ্ছা, বলো তো মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতার নাম কী?’ এই–ই সুযোগ, আমি লম্বা করে হাত তুললাম। ‘এই যে পেছনের টুপি পরা ছেলেটা আসো।’ আমি গেলাম এবং সবাইকে বললাম, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিল গেটস। ‘উত্তর সঠিক হয়েছে’ বলে তিনি আমার হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন। তবে আরও একটা ইচ্ছা আমার ছিল, তা হলো আনিসুল হকের অটোগ্রাফ নেওয়া। প্রথমে তো নিতে পারিনি। পরে যখন মন খারাপ করে করিডরে হাঁটছিলাম, তখন আমার চক্ষু চড়কগাছ! দেখি, আনিস কাকু দাঁড়িয়ে স্যারদের সঙ্গে কথা বলছেন। তাড়াতাড়ি গিয়ে তাঁরই লেখা ‘মা’ বইটিতে অটোগ্রাফ নিয়ে নিলাম। সেদিন রাতে খুশিতে আমার দুচোখের পাতা মেলাতে পারিনি, তা কারও বুঝতে নিশ্চয়ই বাকি থাকার কথা নয়।
ইতি,
আফতাব উদ্দিন
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সপ্তম শ্রেণি, ঢাকা।