ব্যাপারটা মজার না?

প্রিয় কিআ,

আমি কয়েক দিন ধরে তোমাকে নিয়ে গোয়েন্দাগিরি করছি। তুমি প্রায় সবাইকে বলো যে ‘ভালো থেকো’, এটা নিয়েই আমার গোয়েন্দাগিরি। কয়েক দিন আগেও আমি ভালোই ছিলাম, কিন্তু স্কুল বন্ধের পর থেকে আর ভালো থাকতে পারছি না। স্কুল খোলা থাকার কারণে নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে পড়তে হতো। বন্ধুদের সঙ্গে কথা হতো। এখন তো তার একটাও হচ্ছে না। অবশ্য স্কুল খোলা থাকার সময় বলতাম, ‘ইশ, কখন যে ডিসেম্বরের ছুটি হবে, কখন যে গল্পের বই পড়ব!’ এখন আমি একটা গল্পের বইও পাচ্ছি না যে বই পড়ে সময় কাটাব, তাই তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ, তুমি তোমার ওজন বাড়া-আ-আ-ও-ও, প্লিজ। আর অনেক অনেক রহস্যের গল্প ছাপাও। আমার বান্ধবী সুহানা, ঝুমু আপু, মুনা আপুকে তোমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। প্রথম প্রথম ওরা তোমাকে অতটাও পাত্তা দেয়নি কিন্তু এখন আমাকে বলে, ‘তোমার কাছে যতগুলো কিশোর আলো আছে, তার সব দিয়ো।’ ব্যাপারটা মজার না? আমার মনে হয় তুমি আমার স্কুলের কোনো চিঠি ছাপাও না, কেন বল তো (হতাশাগ্রস্ত ভাবে)? আর জানো, আমি আমার জার্নাল বুকে লিখেছি, ‘My best friend is Kia.’ আমি যখন তোমাকে চিঠি লিখছি, তখন আমার মেজো বোন মাইশা বলেছে, ‘হয়েছে, হয়েছে, আর লিখো না, কিআ ভাববে তুমি অনেক বকবক করো (ফাজিল একটা)।’ আমি আমার পরিবারকে নিয়ে চকরিয়া যাব, মামাবাড়িতে, তখন কী হয়েছে না হয়েছে সেটা তোমাকে লিখে পাঠাব প্রস্তুত থেকো, ঠিক আছে? উফ! কথা বলতে বলতে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে (আমার বান্ধবী সাবিহার ডায়ালগ)।

রেজওয়ানা সুবাহ

ষষ্ঠ শ্রেণি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজ, চট্টগ্রাম

কিআ: তোমার যেমন গোয়েন্দার মন, আমার ধারণা চকরিয়ায় গিয়ে ঠিকই একটা রহস্য সমাধান করে ফেলবে তুমি। ‘মামা বাড়ির রহস্য’ শিরোনাম দিয়ে লিখে পাঠিয়ো আমার কাছে। খুব সুন্দর হয়েছে তোমার চিঠি। মাইশাকে বলবে, মোটেই বকবক করোনি তুমি। আরও লিখবে, ঠিক আছে? ভালো থেকো।