আমি কিআতে তোমার লেখা পড়েছি
প্রিয় কিআ,
আজ আমি অনেক খুশি। গতকাল থেকে আমি নতুন এক স্যারের কাছে পড়তে যাই। আজ (০১.১০.১৪) স্যারের পড়ানো শেষে আমরা ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম। তখন আমার পাশে বসা মেয়েটি বলল, ‘তোমার পুরা নাম সুবহা মুবাশশারা, তাই না?’ আমি বললাম, ‘তুমি কীভাবে জানলে?’ তখন তুবা বলল (মেয়েটির নাম তুবা), ‘তুমি কিশোর আলো পড়ো, তাই না?’ আমি অবাক! ‘তুমি কীভাবে জানো?’ তুবা বলল, ‘আমি কিআতে তোমার লেখা পড়েছিলাম। আমি তখন ভেবেছিলাম, তুমি হয়তো মর্নিং শিফটে পড়ো। এখন তো দেখছি তোমাকে আমি চিনি।’ আমি জানতামই না যে আমাদের স্কুলে আরও কেউ কিআ পড়ে। ‘আমি ভাবতেই পারিনি একই ক্লাস, একই শিফটে পাশের রুমেরই একটা মেয়ে কিআ পড়ে। তুমি জানলে অবাক হবা আমরা দুজন অনেক গল্প করেছি, কিন্তু কেউ কারও নাম জানতাম না। আমি জানি না, তুমি আমার চিঠি ছাপবে কি না। ছাপালে আমি খুব খুশি হব। তুবাও হয়তো খুশি হবে যে আমি তাকে নিয়ে লিখলাম।’
সুবহা মুবাশশারা আল মুমতাহিনা
সপ্তম শ্রেণি, জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জয়পুরহাট
কিআ: আরে, এ তো দারুণ ব্যাপার! এ জন্যই আশপাশের ক্লাসের খোঁজখবর রাখতে হয়। কারণ, তোমাদের স্কুলের অনেকেই কিন্তু কিআ পড়ে। জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের যারা কিআ পড়ো, মুমতাহিনা আর তুবার সঙ্গে দেখা করে ফেলো। তারপর কী গল্প করলে আমাকে জানিয়ো। মুমতাহিনা আর তুবা, অনেক ধন্যবাদ তোমাদের। ভালো থেকো তোমরা।