চিঠির খামের লেখা চিঠি
প্রিয় কিআ,
আমি হলাম চিঠির খাম। পরশের টেবিলে পড়ে থাকা এক দঙ্গল খামের মধ্যে আমি একটি। সবাই দেখি তোমাকে চিঠি লেখে। পুতুল, ঘড়ি, ফুল, মাছ, সাইকেল—সবাই। আমি খাম হয়ে বাদ যাব কেন? আফটার অল, আমার জ্ঞাতি ভাইয়েরাই তো এদের সবার চিঠি বহন করে। অবশ্য এখন ই–মেইল নামের হতচ্ছাড়া এসে সব দখল করছে! আমাদের সঙ্গে ওদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক। এর মধ্যে তুমি আমাদের কদর করছো দেখে ভালো লাগল। কিন্তু একই সঙ্গে আবার ই–মেইলদেরও তুমি জায়গা দিচ্ছ। এতে কিছুটা মন খারাপ হলো!
পরশ দেখলাম তোমাকে চিঠি দিচ্ছে। আমার ভেতরে রাখার পর ওর পুরো চিঠিটা পড়লাম। ভাবলাম, আমিও একটা চিঠি লিখি তোমাকে। ও যদি কিআর পাতায় আমার চিঠি দেখে, তাহলে কেমন মজা হবে?
নূর হাসনাত পরশ
নবম শ্রেণি, সানরাইজ আইডিয়াল স্কুল, ময়মনসিংহ
কিআ: সেকি, তুমি পরশের ব্যক্তিগত চিঠি পড়ে ফেললে? থাক, পড়েই যখন ফেলেছ, কী আর করা। আমি কিন্তু মাঝেমধ্যেই তোমার মতো খামদের কথা ভাবি। শুধু ই–মেইল নয়, আমরাও কিন্তু তোমাদের শত্রু। প্রতি মাসে রীতিমতো আয়োজন করে শত শত খাম ছিঁড়ে ফেলি আমরা। তোমার জ্ঞাতি ভাইয়েরা নিশ্চয়ই ব্যথা পায়। আবার চিঠি ভরে যখন তোমাদের গায়ে আঠা লাগিয়ে দেওয়া হয়, নিশ্চয়ই কষ্ট হয় তোমাদের। এ জন্য নিখিল বাংলা খাম সমিতি বোধ হয় এমন একটা পদ্ধতি চেয়েছিল, যেন এভাবে নিরীহ খাম ছেঁড়া না হয়। সে জন্যই ই–মেইল। কী বলো? অবশ্য তোমাকে জিজ্ঞাসা করে লাভ কী, তুমি তো এখন আর আমাদের মাঝে নেই!