গণিত উৎসবের মেডেল চুরি
প্রিয় কিআ,
ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ঈদে অনেক মজাও হয়েছে। চাচাতো ভাই-বোনদের সঙ্গেও মজা করেছি। সাত দিন পর বাসায় এসে দেখি, যে বাসা গুছিয়ে রাখা ছিল; সে বাসা একেবারে এলোমেলো। বাসার ফ্রিজ খোলা। জামাকাপড়, খেলনা মেঝেতে ছড়ানো। যখন বুঝলাম যে বাসায় চোর এসেছিল, তখন খুব রাগ হলো, কষ্টও হলো। মায়ের শাড়ি আর কিছু কাপড় চুরি হয়েছে। আমার সব ক্রেস্ট ও মেডেল ঠিক আছে, কিন্তু বাংলাদেশ গণিত উৎসবের আঞ্চলিক পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় যে মেডেল পেয়েছিলাম, সেটি আর নেই। তখন আমার খুব কষ্ট হলো। অনেক কাঁদলামও। আমার কান্না দেখে বাবা এটা তোমাকে জানাতে বললেন। এখন তুমি চিঠিটা ছাপলে একটু হলেও আমার কষ্ট কমবে।
খন্দকার সিদরাতুল মুনতাহা
চতুর্থ শ্রেণি, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ
কিআ: আহহা! এটা কোনো কথা? চোর এত কিছু থাকতে তোমার মেডেলটাই নিয়ে গেল! নাহ, আমি তো রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি। কিআর যত গোয়েন্দা আছ, তোমরা দেখো তো, মুনতাহার মেডেল রহস্যের সমাধান করতে পারো কি না। মুনতাহা, তুমি মন খারাপ কোরো না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কারের মেডেলও চুরি হয়েছিল। আশা করি, তুমি একদিন আরও বড় পুরস্কার পাবে। এত বড়, যে কোনো চোর সেটার নাগালই পাবে না। ভালো থেকো, সাবধানে থেকো।