ছুটির মধ্যেও শান্তি নেই
প্রিয় কিআ,
এই রোজার মধ্যেও আমাদের স্কুল খোলা ছিল, ২ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত। অনেক হোমওয়ার্ক দেওয়ার কারণে প্রথম সপ্তাহেই ৬০ ঘণ্টার মতো লিখেছি! এ কারণে ৯ তারিখ হাত ব্যথা শুরু হয়েছিল (আগে যে শুরু হয়নি, এটাই সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার)। তবে এই ছুটির মধ্যেও শান্তি নেই! কারণ, ছুটির পর আমাদের ছোটখাটো একটা প্রথম সাময়িক পরীক্ষার মতো হবে। এখন তোমরা দোয়া কোরো, আমি যাতে পড়তে পড়তে অসুস্থ না হয়ে পড়ি!
আমার একটা প্রশ্ন ছিল। অনেক গাড়ির পেছনে দেখেছি এক কোনায় কিআ লেখা থাকে। এটা কি তোমাদের গাড়ি, নাকি এ রকম যেকোনো গাড়িতে করা যায়?
এখানেই শেষ করি। ভালো থেকো, ভালো ভালো গল্প খেয়ো। তবে বেশি বিজ্ঞাপন খেয়ে ফেলো না যেন! আমরা তোমাকে কিআ থেকে বিআ হয়ে যেতে দেখতে চাই না।
নাবিহা কুদসিয়াহ
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: এ রকম অমানবিক হোমওয়ার্কের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ৬০ ঘণ্টা লেখার পর তুমি যে চিঠি লেখার এনার্জি পেয়েছ, এ জন্য তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করি ছুটিতে একটু হলেও বিশ্রাম নিতে পেরেছ। কিন্তু সামনে পরীক্ষা—এটা মাথায় থাকলে ছুটির মজাটাই কমে যায়। কী আর করা। তুমি দারুণ একটা প্রশ্ন করেছ। অনেক গাড়িতে কিআর স্টিকার থাকে। কিছু তো অবশ্যই আমাদের সহকর্মীদের গাড়ি। এ ছাড়াও বিভিন্ন গাড়িতে আমরা এই স্টিকারটা রাখি। তবে সব গাড়িকে কিআর গাড়ি ভেবো না। দেখা গেল, ‘চিঠি ছাপিস না কেন শয়তান’ বলে কিআ লেখা গাড়ির কাচে ঢিল মারলে। পরে দেখা গেল এটা আমাদের না। তাই কিআ লেখা গাড়ি দেখলে বড়জোর ‘হাই কিআ’ বলে একটা ডাক দিতে পারো।