কিশোর আলোর আগামী সংখ্যা কি ভূত নিয়ে?
প্রিয় কিআ,
কেমন আছ? আমি একদম ভালো নেই। এত দিন ভালো ছিলাম। এখন আবার অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। কী বিরক্তিকর একটা বিষয়! যা–ই হোক। সব সংখ্যাতেই দেখি সবাই খালি বলে ‘অসাধারণ ছিল এবারের সংখ্যা’, আমি বলব তার ঠিক উল্টো! মানে এবারের সংখ্যাটা ছিল খুবই ফালতু! শুধু বিদেশি গল্প (আমার আবার বিদেশি গল্প একেবারেই পছন্দ নয়) কিআ পড়ার প্রথম দিকে তোমাকে অনেক ভালো লাগত। যত দিন যাচ্ছে, তুমি তত বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছ। তোমার গল্পে কমিকস কমে যাচ্ছে। তোমার প্রচ্ছদগুলো পছন্দ হচ্ছে না। শুধু একটা জিনিসের জন্যই এখনো তোমাকে পছন্দ করি, জিনিসটা হলো, ‘দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব ফার্মের মুরগি’। আদনান মুকিত স্যারকে আমার ধন্যবাদ জানিয়ো। আর জানো, আমি একটা বিষয় লক্ষ করছি, আগের বছর সব সংখ্যার সব চিঠিতে সবাই ভূত সংখ্যার কথা বলত। জুনে তুমি ভূতসংখ্যা ছাপাতে। কিন্তু এবার একজনও তোমাকে ভূতসংখ্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিল না। এ বছর আমি তোমার কাছে প্রথম দাবি জানাচ্ছি ভূতসংখ্যা ছাপানোর। শোনো, আমার এবারের চিঠিটা কিন্তু তোমাকে ছাপতেই হবে। ছাপতে হবে। ছাপতে হবে। না ছাপলে কিন্তু আন্দোলন করব। আর একটু মোটা হও। প্লিজ প্লিজ প্লিজ। তুমি তো আমার বান্ধবী নিশাতের চেয়েও চিকন হয়ে যাচ্ছ।
আশফিয়া ইলমা
চতুর্থ শ্রেণি, বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চবিদ্যালয়, ঢাকা
কিআ: তোমার কথাটা গুরুত্বের সঙ্গে নিলাম। কিছু ঘাটতির কথা তো বললেই, এগুলো আমরা ঠিক করার চেষ্টা করব। সঙ্গে তুমি দারুণ একটা বিষয় খেয়াল করেছ—ভূতসংখ্যার জন্য এবার কেউ চিঠি লিখল না! আসলে লিখেছে অনেকেই। ভূতসংখ্যা জুনেই হতো, কিন্তু এ মাসে এবার এত খেলা, ভূতেরা বলল, এখন সময় নেই। খেলা দেখার প্রস্তুতি আছে না? তো ভূতসংখ্যা হবে জুলাইয়ে। তত দিনে বোধ হয় তোমার পরীক্ষাও শেষ হয়ে যাবে। ভূতসংখ্যা আশা করি ভালো লাগবে। তবে তোমরা আরেকটা কাজ করতে পারো। চিঠি পাঠানোর সময় চিঠির শেষে প্রচ্ছদের একটা রেটিং দিয়ে দেবে। তাহলে আমরা সরাসরি বুঝতে পারব, প্রচ্ছদ তোমাদের কেমন লাগছে। বুদ্ধিটা কেমন?