পাঠকের প্রশ্ন— ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঠকদের চিঠি কম ছাপো কেন?
প্রিয় কিআ,
আশা করি ভালো আছ, শুরুতেই কিছু প্রশ্ন করব তোমাকে:
১. ‘লেখালেখির ভুবন’ বিভাগটি কোন ভুবনে হারিয়ে গেছে?
২. ‘নিজেকে জানো’র লেখক কি এখনো নিজেকে জানছেন? (মনে করিয়ে দিই, তিনি ২০১৯ বা ২০২০) সালে ‘নিজেকে’ জানতে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
৩. তুমি ফুটবলে কোন টিম সাপোর্ট করো? (আমি আবার কঠিন আর্জেন্টিনার সাপোর্টার)
আশা করি প্রশ্নগুলোর উত্তর পাব। আরেকটা প্রশ্ন, তুমি কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঠকদের চিঠি কম ছাপো? আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তোমার দাওয়াত রইল। এখানে এলে তুমি কালভৈরব মন্দির, আড়িফাইল মসজিদ, হরিপুর জমিদারবাড়ি, উলচাপাড়া জামে মসজিদ ইত্যাদি দেখতে পাবে, সঙ্গে বিখ্যাত রসমালাই, ছানামুখী ইত্যাদি তো আছেই, ভালো থেকো! (কমিকটা কেমন লেগেছে জানিয়ো!)
পুনশ্চ: আমি ২০২৩ সালের মে মাসে কিআড্ডায় গিয়েছিলাম, সেখানে এক আপুর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। অনেক গল্প করেছিলাম সেদিন। আবার ২০২৩ সালের কিআ কার্নিভ্যালেও গিয়েছিলাম। সেখানেও আপুর সঙ্গে বিরতির পর লেখালেখি কর্মশালায় দেখা হয়েছিল। তিনি ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক, সেদিনও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। কিআতে এই লেখা ছাপা হলে যদি আপুর নজরে আসে, দয়া করে কিআতে চিঠি লিখবেন।
সিদরাতুল মুনতাহা
সপ্তম শ্রেণি, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কিআ: সংক্ষেপে উত্তর দিচ্ছি। ‘লেখালেখির ভুবন’ হারায়নি, মাঝেমধ্যেই উঁকি দেবে। ‘নিজেকে জানো’র লেখক আয়ারল্যান্ডে পড়ালেখা শেষ করে এখন চাকরিতে ঢুকে গেছেন। বিদেশে প্রচণ্ড ব্যস্ততায় দিন কাটে তাঁর, তাই বোধ হয় সময় পাচ্ছেন না। আশা করি দু–এক মাসের মধ্যেই লেখা পেয়ে যাবে। ফুটবলের সমর্থন নিয়ে আমাদের মধ্যে ব্যাপক মারমারি আছে। এই উত্তর এখানে দিতে গেলে কিআ বের হতে দেরি হয়ে যাবে; কারণ, আমরা অনেকেই আহত হব। ফলে স্কিপ ইনট্রো। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঠকদের চিঠি কম ছাপব, এত সাহস আছে নাকি আমার? চিঠির ক্ষেত্রে আমি কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা স্কুল দেখি না, শুধু চিঠিটাই দেখি। কমিকটা দারুণ। ছেপে দিলাম।
পুনশ্চ: ওই মিমটার মতো বলতে হচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবক আপু, আপু ঘুমেশে পড়েছেন...নইলে মুনতাহার চিঠির জবাব দিন।