স্কুলের রাকিব স্যার

প্রিয় কিআ,

ছোট থাকতে একবার আমাকে কিআ এনে দিয়েছিল বাবা। প্রথমে পড়ে খুবই বিরক্ত হলাম। এটা আবার কোনো বিনোদন হলো নাকি? ২০২০ সালের শেষের দিকে হঠাৎ প্রচুর গল্পের বই পড়তে শুরু করি। এককথায়, গল্পের বই পড়া ছিল আমার নেশার মতো। তোমাকে হয়তো আজীবনের জন্য ভুলে যেতাম, যদি না আমার স্কুলের রাকিব স্যার কিআ পড়ার উৎসাহ না দিতেন। তিনি আমাদের প্রতিদিন চার-পাঁচটা করে গল্প বলেন। তোমাকে মনে পড়ার পর বাবাকে বললাম কিনে দিতে। কিআ পড়ে তো আমি পাগল! এত ভালো ভালো গল্প আর কমিকস। আরও কত কিছু! টিভি থেকে আমার বিনোদনের প্রথম উৎস হয়ে গেলে তুমি। রাকিব স্যারের কথায় আমার স্কুলের অনেক ছাত্র এখন তোমার ভক্ত। তাদের মধ্যে আমার বন্ধু মোবাশ্বিরও আছে। সে-ও চিঠি পাঠিয়েছে। আর তুমি ইংরেজি গল্পটল্প ছাপাও না কেন? প্রশ্ন রইল তোমার জন্য। ভালোবাসা রইল আমার স্কুলের সব সহপাঠী ও শিক্ষকের পক্ষ থেকে।

মাশআরুল ইসলাম

ষষ্ঠ শ্রেণি, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চট্টগ্রাম

কিআ: ভাগ্যিস তোমাদের স্কুলে রাকিব স্যার আছেন। নইলে তো তুমি কিআকে পাত্তাই দিতে না। স্যারকে অনেক ধন্যবাদ তোমাদের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। তোমাদের স্কুলের অনেকেই চিঠি পাঠিয়েছে এবার। সবাইকে অনেক শুভকামনা। নিয়মিত চিঠি দিয়ো। ভালো থেকো।