আজ আমার অনেক মন খারাপ
প্রিয় কিআ,
বেশির ভাগ সময়ই তোমাকে চিঠি লিখেছি অনেক আনন্দ বা স্বাভাবিক মন নিয়ে। কিন্তু আজ আমার অনেক মন খারাপ। কিছুই করার নেই, ভাবলাম তোমাকে একটু চিঠি লিখি। এতক্ষণ মাকে রান্নাঘরে সাহায্য করছিলাম। আসলে মন খারাপের বিষয়টা হলো, আমার মনে হয় আমি অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে আছি বিভিন্ন দিক দিয়ে। অনেকে অনেক কিছুই পারে। আমি পারি না। তোমার মতো কেউই আমাকে সব সময় দেখামাত্রই খুশি করতে পারেনি। চরম খারাপ মুহূর্তেও কোনো না কোনোভাবে তোমার কথা আমার পরিস্থিতির সঙ্গে মিলে গিয়ে আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। আজ ২৮ তারিখ। এত পরে লেখা চিঠি তুমি ছাপাতে পারো না, আমি জানি। কিন্তু তোমাকে লিখে আমার মনটা বেশ হালকা হলো। ভালো থেকো।
তাসফিয়াহ তাবাসসুম
নবম শ্রেণি, বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজ, বগুড়া
কিআ: কিছু্ই পারো না, এ কথা ঠিক না। তুমি যে অনেক কিছু পারো, তোমার চিঠিটাই তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। তুমিই বললে যে মাকে রান্নাঘরে সাহায্য করছিলে। এটা একটা বিরাট কাজ। অনেকেই এই কাজটা পারে না বা করতে চায় না। তুমি করেছ। আবার দেখো, তুমি খুব সুন্দর করে ছোট্ট একটা চিঠিতে তোমার মনের ভাবটা গুছিয়ে লিখেছ। এটাও অনেকে পারে না। তাই ‘আমি পিছিয়ে আছি’ এটা একদম ভাববে না। আর আমার মনে হয়, খুশি হওয়াও একটা চর্চার বিষয়। খেয়াল করে দেখবে, বিভিন্ন পার্কে ভোরবেলা কিছু মানুষ শুধু শুধু হাসে। মুচকি হাসি না, একেবারে বিকট অট্টহাসি। ওখানে কিন্তু হাসির কোনো ঘটনা ঘটে না। তবু তারা হাসে, আর হাসতে হাসতে সত্যি সত্যি হাসি চলে আসে। হাসি তো সংক্রামক। একটু পর দেখা যায়, কারও হাসি আর থামানোই যাচ্ছে না। তোমাকে আমি সকালে উঠে জোর করে হাসতে বলছি না, বলছি ছোট ছোট বিষয় থেকে আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারো। তাতেও যদি কাজ না হয়, আমি তো আছি। যখনই মন খারাপ হবে, লিখে পাঠাবে আমাকে। ভালো থেকো।