তুমি কি কিআ পড়ো?

প্রিয় কিআ,

আমি একই সঙ্গে ভালো আছি এবং ভালো নেই। খুশি এবং রাগান্বিত। খুশির কারণটা হলো ঈদ। ঈদের পর তুমি ভালো ভালো গল্প, উপন্যাস, কবিতা ছাপাবে। আর খারাপের কারণ, তুমি আমার চিঠি কখনো ছাপাও না। বাই দ্য ওয়ে, তাতে তোমার কিছু আসে–যায় না। আমি যে জন্য চিঠি লিখছি সেটা বলি। আমি এ বছর নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছি। পরিচিত বন্ধুবান্ধব কেউ ছিল না। স্কুলে তেমন ক্লাস হচ্ছিল না। দেখা গেল, সবাই বসে আছি, ক্লাসে স্যার আসার নাম নেই। আমি তোমাকে পড়ার জন্য ব্যাগ থেকে মাত্র বের করেছি, তখন একটা মেয়ে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি কিআ পড়ো?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ। তুমি পড়ো?’ ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমিও পড়ি।’ (ঘটনাটি ঘটার এক বা দুই দিন আগে আমার সঙ্গে ওর বন্ধুত্ব হয়েছিল)। আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার পাশে বসা মেয়েটি একজন কিআ পাঠিকা। ওর নাম হলো সিদরাতুল মুনতাহা।

সৈয়দা সুবাইতা

চতুর্থ শ্রেণি, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

কিআ: দারুণ ব্যাপার তো। এ জন্যই বোধ হয় মুনতাহার সঙ্গে তোমার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কিআর একটা টান আছে না? তোমাদের দুজনের জন্য শুভেচ্ছা। আশা করি তোমাদের বন্ধুত্ব অনেক দৃঢ় হবে। ভালো থেকো তোমরা।

আরও পড়ুন