একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি
প্রিয় কিআ,
তোমাকে চিঠি লিখব বলে কত দিন থেকে ভাবছি, কিন্তু আর লেখা হয়ে ওঠেনি। আজ মনে হয় আমার খারাপ দিনটাকে ভালো করার জন্য তোমাকে লিখছি, কী জানি! ফুরফুরে মনে সকালে উঠে হাত-মুখ ধুলাম। সকাল ১০টায় আমি সুবোধ বালকের মতো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই ফেরত দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম বাসা থেকে। বলা নেই, কওয়া নেই, একদম হঠাৎ করে দুটি কুকুর আমার দিকে ঘেউ ঘেউ করতে করতে দৌড়ে এল। আমার তখন আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার মতো অবস্থা। প্রাণ বাঁচাতে দিলাম দৌড়। আর কিছুতে ভালো না হলেও দৌড়ে আমি মোটামুটি ভালো। কোনোমতে দৌড়ে বাসায় আসার পর খেয়াল করলাম, আমার বই বাবাজি হাওয়া। মনের দুঃখে ফোন দিলাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে। তারা জানাল, বইটা কিনে দিতে হবে। অথবা মূল্যের সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে। আমি তাই এখন দুর্বিষহ অবস্থায় আছি। আমাকে একটু সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমার হারানো বইয়ের নামে বিজ্ঞপ্তি দিলে কিন্তু দারুণ হয়। বইয়ের নাম টুনি মেম, লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী। প্রকাশক বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
তানজিম আহমদ
অষ্টম শ্রেণি, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, সিলেট
কিআ: যাক, কোনো বিপদ ঘটেনি। আমার মনে হয়, দুষ্ট কেউ কুকুরগুলোকে রাগিয়ে দিয়েছিল। এমনিতে কুকুর মানুষকে আক্রমণ করে না। বই হারানোটা খুবই দুঃখজনক। তবে বই হারালে একটা আশা থাকে—যে পাবে, সে-ও হয়তো পড়বে। তবু তোমার জন্য একটা ঘোষণা দেওয়াই যায়।