প্রিয় কিআ,
ব্যাপারটা কী হয়েছে, বলি। যত দিন যাচ্ছে, পান্ডা আর আমার খাদ্যাভ্যাস প্রায় একই হয়ে যাচ্ছে। ক্যাডেট কলেজে টিকে আর কুল পাইনি, কলেজের বাইরে থাকা অবস্থায় মনে হয়, আমি ভাগ্যবান, তাই টিকেছি। আর কলেজের ভেতরে এলে মনে হয় ঠিক তার উল্টোটা। কী আর করা। বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমি একটা কথা ভেবে স্বস্তি পাই যে কিআ তো আর ক্যাডেট কলেজে পড়ে না। তাই চিকন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আমি দ্বিগুণ হারে চিকন হয়ে যাচ্ছি। কারণ, পান্ডার খাদ্যাভ্যাসটি পুরোপুরিভাবে রপ্ত করতে পারিনি এখনো। কারণ হলো নতুন কারিকুলাম। এ নিয়ে কী আর বলব। একদিকে পড়ালেখার চাপ কমায় খুশি হয়েছি। অন্যদিকে আগের মতো পড়ালেখা না থাকায় খারাপও লাগছে। এদিকে কিআ পড়তে লড়তে হয় আরেক লড়াই। কলেজে অন্য কারও কাছে কিআ নেই। তাই আমার পড়া শেষ হওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে পড়তে হয়। আবার অন্যদের পড়তে দিলে কিআ উদ্ধার করা আরেক ঝামেলা। রীতিমতো উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তোমাকে উদ্ধার করতে হয়। সেই ২০১৯ সালে একবার ছোট ফুপির বাসায় বেড়াতে গেলাম। দেখা হলো তোমার সঙ্গে। সেই থেকে পড়া শুরু। ক্যাডেটে আসার পরও তোমার সঙ্গছাড়া হইনি। গত সংখ্যাটি আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। আর একটা কথা ছিল। আগামী সংখ্যায় ‘ওয়ান পিস’ নিয়ে লিখলে অনেক খুশি হব। আর আমার কথা মনে রেখে ড্রিল ও কুচকাওয়াজ নিয়ে লেখো। আবার ভ্যাকেশনে এসে কথা হবে।
খালেদ মাহমুদ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, কুমিল্লা
কিআ: অনেক ধন্যবাদ ক্যাডেট খালেদ মাহমুদ। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তুমি যে আমাদের কথা মনে রেখেছ, এটা একটা বিরাট ব্যাপার। আশা করি ক্যাডেট কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ কাটছে তোমার সময়টা। নতুন যেকোনো কিছুতেই মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। বাসা থেকে দূরে পরিবারের সদস্যদের ছাড়া ক্যাডেটে থাকতে গিয়ে তোমার নিশ্চয়ই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। পরে ঠিকই মানিয়ে নিয়েছ। তেমনি নতুন কারিকুলামটাও ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারবে। তোমার অনুরোধ অবশ্যই আমাদের মাথায় থাকবে। নিজের যত্ন নিয়ো। তোমার অভিজ্ঞতার কথা লিখে পাঠাও আমাদের। ভ্যাকেশনে আবার কথা হবে। ভালো থেকো।