আমার কাছে তো কিআ আছে
প্রিয় কিআ,
তুমি তো জানো, পুরো দেশে পাঁচ-সাত দিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। প্রথম দুই দিন কীভাবে কাটালাম, সেটা আমি নিজেও বলতে পারব না। দিন যেন কাটছিলই না। যতই সময় বাড়ুক না কেন, কোনো এক অদৃশ্য টাইম মেশিন যেন আবার আগের সময়ে নিয়ে যাচ্ছিল আমাকে। রীতিমতো হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। পরে মাথায় এল, আমি হতাশ হব কেন? আমার কাছে তো কিআ আছে! শেষের কয়েক দিন কাটল কিআর সঙ্গে। গুনে দেখলাম, আমার কাছে ৩৭টি কিআ রয়েছে! ইন্টারনেট ছাড়া দিনগুলো অতটাও খারাপ কাটেনি, যতটা চিন্তা করেছিলাম। তবে আমার আরও একটি হতাশা হচ্ছে, এই নিয়ে আমি তোমাকে ৮ নম্বর চিঠি লিখেছি। তুমি একটাও ছাপোনি। জানি না, আমার এলোমেলো চিঠি তুমি ছাপবে কি না। তবে আমি আমার চেষ্টা অব্যাহত রাখব। বেশি দেরি করে লেখার জন্য দুঃখিত। পুষ্টিকর (মজার মজার) খাবার খেতে ভুলবে না কিন্তু।
রাইসা নুর রশিদ
সপ্তম শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
কিআ: আমরাও চিন্তায় ছিলাম তোমাদের নিয়ে। আশা করি সবাই নিরাপদে আছো। সাধারণত এই সময়েই তোমাদের চিঠিগুলো আসতে শুরু করে। ভেবেছিলাম, এবার হয়তো চিঠির পরিমাণ কমে যাবে, কিন্তু তা ঘটেনি। আগের চেয়ে অনেক বেশি চিঠি এসেছে এবার। এমন বিপদের মধ্যেও আমাদের মনে রাখার জন্য তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো।