পায়রাগুলো ডাকছে বাকুম-বাকুম;
কাক বলল, ‘শুধরে জীবন নতুন করে আঁকুম-
কিন্তু তখন কোথায় গিয়া থাকুম?’
পায়রা বলে, ‘এই নিয়ে যা টাকা,
সাতসকালে ভাল্লাগে না কা, কা...
লঞ্চে উঠে যা উড়ে যা ঢাকা।’
কাকটা বলে, ‘ক্যান্ যেতে কও ঢাকা!
ঢাকায় ভারি দুষ্ট বাসের চাকা—
হাঁটতে গেলেই পড়তে হবে চাপা,
কাঁদবে তখন বাপ, মা এবং আপা।’
পায়রা বলে, ‘বুদ্ধি তো নেই ভাঁড়ে—
হাঁটবি কেন! থাকবি বসে খাম্বাতে আর তারে।’
কাকটা বলে, ‘বুদ্ধি দিলা মরার—
উড়তে গিয়া লাগলে তারে ডানা
অকালে যাক আমার জীবনখানা।’
পায়রা বলে, ‘জীবন নিয়ে এতই যদি ঝুঁকি—
এ-ঘর ও-ঘর কেন দিচ্ছিস উঁকি?
আমার মতোই খাঁচাতে থাক, কী আর আছে করার।’
কাক বলল, ‘সেই কপাল কি কালা কাকের আছে?
থাকলে কি আর থাকন লাগে গাছে!’
পায়রা বলে, ‘কপাল কিরে! এ তো কপালপোড়া—
বাকুম-বাকুম পায়রা-জীবন পরাধীনে মোড়া।’