চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন
এই যে তুমি কাঁদছ এখন ঠিক জানি না কারণ
জোর করে এই কান্নাকাটির হয় কি অপসারণ!
কাঁদার সময় চোখ দুটোতে গড়িয়ে পড়ে জলও
হাসবে যখন ঠিক তখনো অশ্রু টলোমলো!
রান্নাঘরে মায়ের খোঁজে হঠাৎ তুমি গেলে
মায়ের চোখে অবাক করা পানির দেখা পেলে!
মা তখনো কাটতেছিলেন পেঁয়াজ কুচি কুচি
কারণ, বাবার কাঁচকি মাছে অনেক অনেক রুচি!
চোখ দুটোতে ধূলি, ধোঁয়া কিংবা কিছু গেলে
টলমলিয়ে অশ্রু ঝরে সবকিছুকে ঠেলে!
বলতে পারো এমন কেন, কী কারণে ঘটে
চক্ষু থেকে পানি ঝরার কারণ আছে বটে!
চোখের কোনায় চিকনমতো কতক আছে নালি
বলতে পারো, ‘কী কারণে আমরা সেসব পালি!’
কাঁদার সময় সেই নালিতে জমলে অধিক পানি
অশ্রু হয়ে গড়িয়ে পড়ে তার একটুখানি!
হাসির সময় মাংসপেশি প্রসারিত হলে
কান্নার সেই নালিখানা মুখটা আবার খোলে।
ঠিক তখনই বেরিয়ে আসে চোখের কোনায় পানি
এমনি কি আর হাসার সময় রুমালটা নাও টানি!
পেঁয়াজ কাটার সময় যদি অশ্রু আসে চোখে
বলবে মানুষ, কাঁদছ তুমি সেই পেঁয়াজের শোকে!
ধূলি, ধোঁয়া, গ্যাসের জ্বালা চোখের পাতা নাচায়
অশ্রুনালি অশ্রু ফেলে চোখ দুটোকে বাঁচায়।