শীতেই তো সব উৎসব
শীতেই তো সবকিছু, শীতেই তো সব
শীতেই তো আমাদের যত উৎসব।
শীতেই তো পাখিদের দূর থেকে আসা
দিনমান কলরব আর কত হাসা।
আসর বসায় তারা মাঠে-প্রান্তরে
গান গায় উড়ে উড়ে সুমধুর স্বরে।
বাগানে বাগানে কত ফুল শোভা পায়
তাই দেখে মধুকর ছুটে ছুটে যায়।
প্রজাপতি, মৌমাছি বসায় যে মেলা
ফুলেদের সাথে করে সারা দিন খেলা।
শীতেই তো মামাবাড়ি করে ডাকাডাকি
আমরা কি একপল আর ঘরে থাকি!
পিঠে-পুলি খেতে ছুটি সোজা মামাবাড়ি
বাসে-ট্রেনে চেপে দিই দূর পথ পাড়ি।
পিঠে-পুলি খেতে খেতে গান গেয়ে উঠি
গাঁয়ের পথটি ধরে আনন্দে ছুটি।
রাতে শুই তুলতুলে কাঁথা আর লেপে
ওম আসে, ঘুম আসে খুব করে ঝেঁপে।
পশমি কাপড় পরি, পরি সোয়েটার,
পালায় শীতের বুড়ি সাগরের পার।
শীতেই তো পালাগান, যাত্রার ধুম
গাঁয়ের লোকের চোখে নেই কোনো ঘুম।
অভিনয় পালা দেখে আনন্দ পায়
দুঃখের রেশটুকু ধুয়েমুছে যায়।
শীতেই তো মেলা বসে গঞ্জে ও গ্রামে
খুশির জোয়ার যেন মাঠেঘাটে নামে।
কত খেলা, কত-কিছু, মণ্ডা-মিঠাই—
খাই আর দেখি সব; খেইটি হারাই।
শীতেই তো সবজির কত সমাহার
কত তার স্বাদ আর কতই বাহার!
খেজুর রসের হাঁড়ি ঝোলে গাছে গাছে
আমরা তো ছুটে যাই সোজা তার কাছে।
গাছি ভাই রস দেয়, পেট পুরে খাই
শীতের তুলনা শীত, আর কী-বা চাই!
কারা বলে শীতকাল বড় নিষ্প্রাণ
যারা জানে, বোঝে তার কত অবদান!