২২ গজের পিচটা মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেই হোক কিংবা অন্য কোথাও, এমাথা থেকে ওমাথায় গতির ঝড় তুলে বাঘের মতো হুংকার দেওয়া হয়ে গিয়েছে তারই পরিচায়ক। আবার প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের দিকে সেই বজ্রকঠিন দৃষ্টি দেওয়া চোখ দুটোই যেন সরল হয়ে যায় মাঠের বাইরে এলে। বলছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজার কথা।
ব্যক্তিগত জীবনে বেশ সহজ-সরল তিনি। যখন যেটা করতে ভালো লাগে, তখন সেটাই করেন। অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা ঘটিয়ে লোকমুখে ‘পাগলা’ নামেও পরিচিত হয়েছেন। ভালোবাসেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে, মোটরবাইকে করে ঘুরে বেড়াতে, চিত্রা নদীতে সাঁতার কাটতে অথবা পাড়ে বসে থাকতে।
জন্মের পর নড়াইলেই বেড়ে ওঠা মাশরাফির। বাড়ির কাছে চিত্রা নদীর সঙ্গেই প্রথম প্রেম। ছোটবেলায় পড়ালেখার প্রতি মোটেও আগ্রহ ছিল না তাঁর। স্কুল চলাকালে নাম ডাকার খাতায় নামের পাশে ‘উপস্থিত’ লেখা থাকত ঠিকই, কিন্তু তাঁকে পাওয়া যেত কেবল মাঠেই। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তাঁর। খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন অসংখ্যবার। তবে বারবারই ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছেন বাঘের মতো। প্রতিবার যেন আগের চেয়ে আরও ক্ষুরধার হয়েছে তাঁর বোলিং। যুদ্ধ জয় করা এই মানুষ সম্প্রতি মুখোমুখি হয়েছিলেন কিআ সাক্ষাত্কার দলের। গত ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে বসে কথা বলেছেন ব্যক্তিগত, খেলোয়াড়ি জীবনসহ নানা দিক নিয়ে। সাক্ষাত্কার দলে ছিল মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হামীম ইসলাম, ভিকারুননিসা নূন স্কুলের উম্মে হানি, মাইলস্টোন কলেজের ইসতিয়াক হোসেন ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সজিব-উজ-জামান।
এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আপনার প্রথম প্রেম চিত্রা নদী। সেই নদীর পাড়ের দিনগুলো কেমন ছিল?
যারা চিত্রা নদী দেখেছে, তারাই বলেছে যে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর নদী। আমার মতেও তা-ই। এ নদীর পানি অনেক সুন্দর। অনেকেই একাকী সময়টা নদীর পাড়ে কাটায়। নদীকে ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি আছে। নদীতে আমরা ৬০-৭০ জন একসঙ্গে গোসল করতাম। নড়াইলের বেশির ভাগ মানুষের জীবনের একটি বড় অংশই চিত্রা নদী।
আর স্কুলের দিনগুলো?
আমার জীবনের সেরা সময় স্কুলজীবনের সময়গুলো। যদি সুযোগ থাকত ফিরে যাওয়ার, স্কুলজীবনটাকেই বেছে নিতাম। কারণ কলেজ বা ভার্সিটি জীবন বলতে তেমন কিছু ছিল না আমার। আর থাকলেও বলতাম স্কুলজীবনটাই আমার সবচেয়ে প্রিয়। আর মজার ঘটনা বলতে প্রথম পিরিয়ডে ওই যে রোল কল করা হতো না? ওইটা করেই মাঠে চলে যেতাম, আবার টিফিন পিরিয়ডের রোল কলের টাইমে চলে আসতাম। ওই রোল কলের টাইমেই শুধু উপস্থিত থাকতাম। এভাবে চলতে চলতে একটা পর্যায়ে স্যাররাও ছেড়ে দিল যে ‘যা, খেল তুই’।
আপনাকে নাকি ‘পাগলা’ বলে ডাকা হতো? এই নাম কেন?
মানুষ যে কেন এই নাম দিয়েছে, জানি না। কোনো নির্দিষ্ট কারণ নেই। হয়তোবা ছোটাছুটি বেশি করতাম বলে।
আপনার জীবনটা কি এখনো পাগলাটে? নাকি গোছানো?
আমি আসলে গুছিয়ে চলতে পারি না। আগে যেভাবে চলতাম সেভাবেই চলি।
আপনি ব্যাডমিন্টনটাও ভালো খেলতেন। ক্রিকেটে কেন এলেন?
ক্রিকেটই যে খেলতে চাইতাম তা না, আসলে সবাই স্কুলে পড়ার সময় যেমন খেলাধুলা করে, ও রকমই করতাম। ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস—এ রকমই খেলতাম। ক্রিকেটে হঠাত্ করেই চলে আসা। আসলে ক্রিকেটই খেলব এটা ভেবে নয়, খেলতে খেলতে হয়তোবা ভালো খেলে ফেলেছি এক জায়গায়, কারও ভালো লেগেছে, সে নিয়ে নিয়েছে। এ রকম।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার অভিষেক খুব অল্প বয়সে। ওই বয়সেই অত বড় চাপ কীভাবে মানিয়ে নিয়েছিলেন?
তখন চাপ কাকে বলে তা-ই বুঝতাম না। এসেছি যখন, তখন সবার তুলনায় আমি অনেক ছোট ছিলাম। সবাই অনেক আদর-যত্ন করত। আমার সঙ্গে আশরাফুল, শরীফসহ আরও অনেকেই ছিল।
মোহাম্মদ শরীফ কিন্তু পরে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি। আপনি এখনো খেলে যাচ্ছেন। তার মানে চাপটা কি কারও কারও জন্য আসলেই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় না?
শরীফের ভাগ্য আসলে খারাপ ছিল। তার এমন একটি ইনজুরি হয়েছিল, বাইরের দেশেও যার ট্রিটমেন্ট পাওয়া যেত না। আল্লাহ তায়ালা কাকে কখন কীভাবে রাখেন, কার ভাগ্যে কী রাখেন, তা তো আর জানা যায় না। আমি সব সময় চাই দেশের জন্য ভালোমতো খেলতে।
আপনি ব্যাটিংটা ভালোই করেন। কখনো কি মনে হয় না, আপনি ব্যাটিংয়ে আরেকটু জোর দিলে বাংলাদেশ আরেকজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পেত?
এটা ঠিক। তবে আসলে ক্যারিয়ারে অনেক ইনজুরি ছিল। বোলার হিসেবে দলে চান্স পেয়েছিলাম। একজন খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়লে তাকে অনেক দিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়। খেলায় ফিরে নতুন করে আবার সবকিছু শুরু করতে হয়। ইনজুরি কাটিয়ে ওঠার পর বোলিং ঠিক করতেই অনেক সময় লেগে যায়। তাই ব্যাটিংটা সেভাবে করা হয় না। তবে সুস্থ থাকলে হয়তোবা ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে পারতাম। সেটা আমার ও বাংলাদেশ দল উভয়ের জন্যই ভালো হতো।
স্পিন বল করেছেন কখনো?
ঢাকা লিগে স্পিন করেছিলাম। অফ স্পিন। ১৭-১৮ উইকেটের মতো নিয়েছিলাম।
ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর পর বাউন্সার নিষিদ্ধ করার একটা দাবি উঠেছিল। আবার অনেকে বলেছেন, এটা নিষিদ্ধ করা মানে ফাস্ট বোলারদের পঙ্গু করে দেওয়া। আপনার কী মত?
পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষের ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর তাঁদের মৃত্যুদিনে স্মরণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। একটা সময় তাঁদের মনে রাখলেও পরবর্তী সময়ে শুধু মৃত্যুদিনেই স্মরণ করা হয়। খেলা খেলার নিয়ম অনুযায়ী চলবে। অবশ্য, এত কম বয়সে একটা বাউন্সার একটা জীবন কেড়ে নিল। অন্যদের মতো আমারও খারাপ লেগেছে। আমার যদি সুযোগ থাকত, তাহলে বাউন্সার উঠিয়ে দিতাম।
হঠাত্ একদিন আদিম যুগে ফিরে গিয়ে দেখেন, সেখানে আপনি ছাড়া কেউ ক্রিকেট খেলতে পারে না, কী করবেন?
ক্রিকেট তো খেলতেই চাই না। ভালোবেসে ফেলেছি বলে খেলাটা ছাড়া থাকতে পারি না। আদিম যুগে চলে গেলে আমার মতো খুশি আর কেউ হতো না। আমি ওই সময়টাই বেশি পছন্দ করি। আর অবশ্যই, কাউকে ক্রিকেট শেখাতাম না বা ক্রিকেট টিম বানাতাম না কিংবা কোনো খেলাই খেলতাম না। বলতাম, তোমরা যেভাবে পারো বাঁচো। ওই সময়ে জীবনটা এত চ্যালেঞ্জিং ছিল না। সে যুগে ফিরে গেলে তিন বেলা খাওয়া-দাওয়া করতাম। যখন খুশি ঘুরতাম। ওই যুগটাই ভালো ছিল।
আপনার কাছে আনন্দ মানে কী?
আমার কাছে আনন্দ মানে, মনে যেটা আসে সেটাই করা। যেমন আমার যদি এখন মনে হয় এখান থেকে দৌড়িয়ে মিরপুর ১০ নম্বরে চলে যাব, তাহলে সেটা করাই আমার কাছে আনন্দ।
এমন কোনো ঘটনার কথা কি এখন মনে পড়ছে?
একবার মনে হলো নড়াইলে আফ্রিকান জংলি সাজব। তখন জাতীয় দলেই খেলি আরকি। ইনজুরিতে ছিলাম। দেবদারুগাছ আছে না? কয়েকজন বন্ধু মিলে ওগুলোর পাতা সাইজ করে কাটলাম এবং খালি গায়ে শুধু ছোট প্যান্ট পরে তার ওপর দড়ি দিয়ে কোমরে বাঁধলাম। তারপর মুখে কালি-টালি মেখে মেইন রোড গিয়ে ‘হু!’ ‘হু!’ করতে লাগলাম। সবাই তাকিয়ে ভাবছিল ‘কারা এরা?’ এটাই আনন্দের। সবাই ভাবছে, ‘এই জংলিরা কোথা থেকে এল? হাতে ওই রকম আদিম যুগের লাঠি!’
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘ভারতকে ধরে দিবানি’ এবং সত্যিই আমরা ভারতকে ধরে দিয়েছিলাম। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোন কোন দলকে ধরে দেওয়ার ইচ্ছা আছে?
সামনে যে পড়বে, তাকেই ধরে দিবানি! (হাসি) আলাদাভাবে বলতে চাই না। আসলে ম্যাচ বাই ম্যাচ সবগুলোতেই ভালো করতে চাই। সেবার জিতে গিয়েছিলাম বলে কথাটা এতটা প্রচারিত হয়েছিল।
আপনি মাঠে থাকলে দল অনেক উজ্জীবিত থাকে, ড্রেসিংরুমেও সবাইকে হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখেন। সব সময় এতটা নির্ভার আর উত্ফুল্ল থাকেন কীভাবে?
একেকজনের স্টাইল একেক রকম। আমি ওই রকমই চলি। হয়তোবা সবার ওইটা ভালো লাগে আরকি।
আপনার জার্সি নম্বর ২ কেন?
এটা কাউকে বলা যাবে না (হাসি)। প্রথম যখন খেলি, তখন আমাকে জার্সি নম্বর ২০ দেওয়া হয়। তখন আমি ভাবলাম শূন্যটা ফেলে দিলে কেমন হয়! (হাসি)
যে ওভারটির কথা কখনো ভুলতে পারবেন না?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ওভারে ১৭ রান দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ ওই ম্যাচটা হেরেছিল।
কখনো কি জীবনে হতাশা ভর করেছে?
হতাশার অনেক কিছুই জীবনে হয়েছে। কিন্তু হতাশ হইনি। হতাশার অনেক কিছুই জীবনে হবে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ সব সময়ই ভালো থাকতে চায়। কিন্তু থাকতে চাইলেই থাকতে পারে না। খারাপ সময়টায় মানুষ যখন হতাশ হয়ে পড়ে, তখন উঠে দাঁড়ানোটা খুব কষ্টকর।
অনেক দেশেই খেলতে গিয়েছেন। কোন দেশটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে?
নিজের দেশ ছাড়া অন্য কোথাও ভালো লাগে না। আমার কাছে নিজের দেশই সেরা। অন্য কোথাও গেলে কষ্ট লাগে।
ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করার জন্য ‘পেসার হান্ট’ হয়েছিল। এ ধরনের আর কী উদ্যোগ নিলে আমরা আরও বেশি ফাস্ট বোলার পাব?
ভালো উদ্যোগ ছিল ‘পেসার হান্ট’। বাংলাদেশে উইকেট সব সময় স্পিনবান্ধব থাকে। পত্রিকায় কোনো খবর হলে সেটা সাকিব, রাজ্জাক বা অন্য স্পিনারদের সাফল্য নিয়েই হয়। কারণ তারাই উইকেট পায়। যারা উঠতি তারা আসলে সাকিব বা রাজ্জাকের মতো স্পিনারদের আদর্শ মেনে স্পিনার হতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশে যেখানে ডেল স্টেইন, মরনে মরকেল আছে, সেখানে উঠতি খেলোয়াড়েরা চিন্তা করে যে তাদের মতো হতে হবে, এটাই স্বাভাবিক।
এ ক্ষেত্রে নতুনদের উত্সাহিত করতে আপনি কী ভূমিকা পালন করতে পারেন?
কেউ যদি আসলেই মন থেকে পেস বোলিং শিখতে চায় এবং আমার কাছে আসে, আমি অবশ্যই তাকে সাহায্য করব, অনুপ্রাণিত করব, উত্সাহিত করব।
আপনিই বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি এতগুলো অস্ত্রোপচারের পরও এখনো সফলতার সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন। ইনজুরির সঙ্গে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পেছনে মূলমন্ত্রটা কী?
ওই যে একটু আগে বললাম না, হতাশার অনেক কিছুই ছিল পুরোটা জীবনে। কিন্তু হতাশ হইনি। সব সময় চিন্তা করেছি বাংলাদেশ টিমে খেলাটাই আমার লক্ষ্য। এটা আসলে ভালো লাগা-ভালোবাসার ব্যাপার। এটাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম, এটা ছেড়ে থাকতে পারব না ভেবেই কষ্টটা করেছি। জীবনে সব সময় ভালো-খারাপ দুইটাই আসবে। খারাপ সময়ে হতাশ না হয়ে ওটাকে কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা চিন্তা করতে হবে। সেভাবে কাজ করাটাই ভালো।
বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দলের খেলা দেখেন? তাদের মধ্যে কার খেলা ভালো লাগে?
দেখি। ওরা মাত্র খেলা শুরু করেছে। তাই নির্দিষ্ট কারও নাম বলে অন্যদের অনুত্সাহিত করব না। ওরা সবাই ভালো খেলে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলবে।
কিশোর যারা ক্রিকেটার হতে চায়, তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
খেলাধুলা এমন একটা ব্যাপার, যেখানে খেলাধুলাই ধ্যানজ্ঞান হতে হয়। তার পরও সবাই তো আর খেলোয়াড় হতে পারে না, তাই খেলাধুলা যেভাবেই করা হোক না কেন পড়ালেখাটাও করতে হবে।
একদিন আমরাও বিশ্বকাপ জিতব। বাংলাদেশ নিয়ে আপনার স্বপ্ন কী?
অবশ্যই এটা আমারও স্বপ্ন। আরও বেশি স্বপ্ন একদিন আমরা টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকব। জানি না এটা দেখে যেতে পারব কি না। তবে ইনশা আল্লাহ একদিন না একদিন এটা হবেই। যখন টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে এক নম্বর হব, তখন এমনিই আমরা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা ডিজার্ভ করব।
সাক্ষাত্কার দলের এই পাঁচজন ছাড়াও আরও যাদের প্রশ্ন নির্বাচিত হয়েছে—অংকন ঘোষ দস্তিদার, আশকারি রহমান, ফাবিহা হোসেন, ফাহমিদ মুন্তাসির, ফারমিন মাসুদ, হূদিতা ফেরদৌস, ইরফানুর আলম, জয় কস্তা, কাজী নিশাত রাবিয়া, মাহফুজ আহমেদ, মাশরাবা আহমেদ, মীর মো. নুরুল করিম, মো. আমিনুল ইসলাম, নাদিয়া রহমান, নাজিরা রহমান খান, প্রান্ত দাশগুপ্ত, রাফিউস সালেহীন, রাজকন্যা রাজ্জাক, রুবাইয়াত রহমান, সাদীয়া ইসলাম, সামিয়া ইসলাম, সামিন রায়হান, সাদমান সাকিব, সৈয়দা নাহার বিনতে আল রাজী, শামীম মাহমুদ, তাজিরা মুবাশ্বিরা ও জুনায়েদ মোস্তফা।