‘বিতর্ক আর ঝগড়ার মধ্যে পার্থক্য কী?’ এমন প্রশ্ন যদি বিতার্কিকদের করা হয়, তারা কি রেগেমেগে আগুন হবে? নাকি যুক্তি দিয়ে ব্যাপারটা খোলাসা করবে?
গত বুধবার রাজধানীর বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিতার্কিকদের এমনই এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন আনিসুল হক। বেশ হাসি হাসি মুখ নিয়ে মঞ্চে উঠে এল এক শিক্ষার্থী। উত্তরে বলল, ‘ঝগড়ায় কোনো যুক্তি থাকে না। বিতর্কে থাকে যুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ সব যুক্তি’। সবার করতালি শোনা গেল অডিটরিয়ামজুড়ে। বুঝতেই পারছ, বিতার্কিকেরা কত ঠান্ডা মাথায় যুক্তি দেয়!
বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ বিতর্ক ক্লাব আয়োজিত ‘১ম বিডিসি জাতীয় বিতর্ক উৎসব’-এর প্রাক্-উৎসব কর্মশালার গল্প বলছিলাম। উৎসবমুখর এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিআ সম্পাদক আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সাজ্জাদুর রহমান, উপাধ্যক্ষ নূর-ই-দিবা, বিতর্ক ক্লাবের মডারেটর রুবায়েত সুলতানা ও কিশোর আলোর সহকারী সম্পাদক পাভেল মহিতুল আলম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, ‘অনেক মানুষের সামনে কথা বলতে আমরা সবাই কিছুটা ভয় পাই। এই ভয় কাটিয়ে ওঠার সবচেয়ে বড় উপায় হলো বিতর্ক করা। আর সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী বিতার্কিক হয়ে ওঠার মূল মন্ত্র হলো, নিয়মিত অনুশীলন করা।’
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর প্রশ্ন ছিল, ‘আমি যা হতে চাই, মা-বাবা চায় না, আমি সেটা হই। আমার কী করা উচিত?’ আনিসুল হক উত্তরে বলেন, ‘তুমি তোমার মনের কথা শুনবে। মা-বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে। সাকিব আল হাসান যদি আজ নিজের পছন্দের ক্রিকেট ছেড়ে অন্য কিছু হতেন, তাহলে কেমন হতো বলো তো?’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে লম্বা এক লাইন হয়ে যায় মঞ্চের সামনে। সবাই চায় আনিসুল হকের অটোগ্রাফ। কারও হাতে খাতা, কারও হাতে বই। একই সময় হাসি হাসি মুখে চলল ফটোসেশনও।