পিচ্চি ভূতের গল্প
স্মার্টফোন
ভূত বলে কোনো কিছুর দেখা পাননি এখনো বিজ্ঞানীরা। ভূতে বিশ্বাস স্রেফ কুসংস্কার বৈ কিছু নয়, তা–ও বলেন অনেকে। কিন্তু তাই বলে কিশোর আলোয় ভূতের গল্প থাকবে না, তা কি হয়?
মিতুলের বাবা মারা গেছেন বহু আগেই। তার মা শায়লা আহমেদ একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। তাতে যা টাকাপয়সা আসে, মা-ছেলের দিনকাল চলে যায়।
কয়েক মাস আগের কথা। শায়লা একটা নতুন স্মার্টফোন কিনে এনেছেন। মিতুল হঠাৎ এসে বলে, মা, তোমার ফোনটা দাও না!
কী করবি?
খেলব একটু।
শোন, কাউকে ফোনটোন দিবি না কিন্তু।
ঠিক আছে।
রাত সাড়ে ১১টা বেজে গেছে। শায়লার ঘুম ঘুম লাগছে। তিনি ভাবলেন, এবার ছেলেটাকেও খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া যাক। কিন্তু শোয়ার ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন মিতুল নেই! তিনি দৌড়ে ড্রয়িং রুমে যান, দেখেন মিতুল সোফাতেই ঘুমিয়ে গেছে। শায়লা স্বস্তি বোধ করলেন। তিনি স্মার্টফোনটা হাতে নিলেন, দেখবেন মিতুল কিছু বদলে ফেলেছে কি না।
না। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। কাউকে মিতুল ফোনও দেয়নি, টেক্সটও করেনি। শুধু গেমস খেলেছে আর ছবি তুলেছে।
শায়লা মিতুলের তোলা সব ছবি ডিলিট করে দিলেন। শুধু সর্বশেষ ছবিটা ডিলিট করলেন না; সেটি দেখার সময় তাঁর মেরুদণ্ড দিয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে গেল: এটা ঘুমন্ত মিতুলের ছবি। কোনো একজন যেন তার ওপর থেকে তুলেছে...আর ছবিতে একজন বয়স্ক নারীও আছেন; যাঁকে শায়লা কখনো দেখেননি।