পিচ্চি ভূতের গল্প
সম্ভাবনা
ভূত বলে কোনো কিছুর দেখা পাননি এখনো বিজ্ঞানীরা। ভূতে বিশ্বাস স্রেফ কুসংস্কার বৈ কিছু নয়, তা–ও বলেন অনেকে। কিন্তু তাই বলে কিশোর আলোয় ভূতের গল্প থাকবে না, তা কি হয়?
আনোয়ার সাহেবের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি তাঁর ছেলে তুতুলকে নিয়ে একটা নতুন বাড়িতে উঠলেন। গ্রামের স্থানীয় লোকজন বলে, এ বাড়িটা নাকি পোড়োবাড়ি। কিন্তু আনোয়ার সাহেব বা তুতুল—কেউই ভূতে বিশ্বাস করে না। কাজেই বেশ নিশ্চিন্তেই তারা ওই বাড়িতে উঠল।
বাবা শুয়ে আছেন। তুতুল নিচের তলায় গিয়ে কাজে সাহায্য করার লোকটিকে বলল, আমাকে এক গ্লাস পানি আর কিছু খাবার দিতে পারবেন? বেশ খিদে পেয়েছে।
লোকটা বলল, একটু অপেক্ষা করেন, স্যার। এখনই দিতেছি। লোকটি খানিকক্ষণ মাথা নিচু করে রইল। এই দেখে তুতুল বলে, আপনি কি কিছু বলবেন?
লোকটা বলল, স্যার, এই বাড়িতে ভূতটুত থাকতে পারে...মানে আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু অনেকেই দেখেছে, যারা এ বাড়িতে থেকে গেছে আরকি।
পরদিন তুতুল বাবাকে বলল, বাবা, আমার মনে হয় ভূতে বিশ্বাস করা দরকার। এ বাড়ির কাজের লোকটা বলল, এখানে নাকি ভূত থাকতে পারে।
তুতুল, আমাদের কোনো কাজের লোক নেই। আজই এই বাড়ি ছাড়তে হবে, বাবা বললেন।