বাসায় কেউ নেই। বাকের সাহেব একা। দুপুরে তাঁর স্ত্রী আর ছেলে গেছেন শ্বশুরবাড়িতে। স্ত্রীর বড় ভাই আমেরিকা থেকে এসেছেন। অফিস শেষে তাঁরও শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সোজা বাসায় চলে এসেছেন। প্রচণ্ড গরমে শরীর নেতিয়ে পড়েছে।
তিনি যে শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছেন না, সেটা স্ত্রীকে জানানো দরকার। মোবাইল ফোনে ব্যালান্স ছিল না বলে পাড়ার দোকান থেকে একটা স্ক্র্যাচ কার্ড কিনে এনেছেন বাসায় আসার সময়। বারান্দায় বসে সেটা ঘষে মোবাইল ফোন রিচার্জ করবেন। কার্ডটায় একটা ঘষা দিলেন তিনি। দুই দিন আগে হাতের নখ কেটেছেন, ফলে নখ দিয়ে ঠিকঠাক ঘষা যাচ্ছে না। তাই ঘর থেকে একটা কয়েন নিয়ে এসে কার্ডটা ঘষতে লাগলেন। গোপন নম্বরটা যখন প্রায় পুরোটা দেখা যাচ্ছে, ঠিক তখনই মনে হলো পুরো বারান্দা ধোঁয়ায় ভরে গেছে! বাকের সাহেব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি করতে লাগলেন! আগুন লাগল কোথায়? কী সর্বনাশ! এখন তিনি কী করবেন?
তাঁকে কিছু করতে হলো না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ধোঁয়া কমে এল। ধোঁয়া কমে আসতেই সেখানে একটা তরুণের মুখ দেখা গেল! বাকের সাহেবের হার্টের সমস্যা নেই। সমস্যা থাকলে এতক্ষণে বুক চেপে ধরে বসে পড়তেন! তবে তাঁর হাত-পা ঘামতে লাগল! মনে হতে লাগল, তিনি দুঃস্বপ্ন দেখছেন। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ভাসতে থাকা তরুণের চোখে কালো সানগ্লাস। দুই হাতে অনেকগুলো রিস্টব্যান্ড। পরনে ক্যাটক্যাটে হলুদ রঙের টি-শার্ট, সেখানে লেখা ‘ইয়ো ব্রো’!
বাকের সাহেব তোতলাতে তোতলাতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আ আ আপনি কে? এখানে কীভাবে এলেন?’
শূন্যে ভাসতে থাকা তরুণ হাই তুলে বলল, ‘আঙ্কেল, প্যানিক করবেন না। আমি এই স্ক্র্যাচ কার্ডের জিনি, মানে দৈত্য।’
বাকের সাহেব ততক্ষণে মোটামুটি সামলে উঠেছেন। তরুণের বয়স তাঁর ছেলের থেকে বছর চার-পাঁচেক বেশি হবে। দেরিতে বিয়ে না করলে এই বয়সী একটা ছেলে থাকতে পারত তাঁর। তাই খানিকটা
রূঢ়স্বরেই বললেন, ‘ফাজলামির জায়গা পাও না! দৈত্য থাকে জাদুর প্রদীপে। তুমি এই বাসায় ঢুকলে কী করে?’
বাকের সাহেবের জেরায় তরুণ দৈত্য মোটেও বিচলিত হলো না। সানগ্লাস খুলে টি-শার্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে করতে বলল, ‘আঙ্কেল, আমি আপনার ছেলের বয়সী। বেশি বেয়াদবি করব না। মন দিয়ে শুনুন, আমি একেবারে সলিড দৈত্য। চাইলে সার্টিফিকেটও দেখাতে পারি। তবে স্যরি টু সে, আপনি এখন আমার তিনটা হুকুম পালন করতে বাধ্য থাকবেন।’
বাকের সাহেবের আক্কেলগুড়ুম অবস্থা! নতুন প্রজন্ম নিয়ে তিনি বেশ হতাশ। তবে এতটা যে উচ্ছন্নে গেছে, এটা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি! বলা নেই-কওয়া নেই এক ছোকরা ঘরে ঢুকে দাবি করছে, আমি দৈত্য, আমার তিনটা হুকুম পালন করতে হবে! দেশটা যাচ্ছে কোথায়?
বাকের সাহেব সর্বোচ্চ লেভেলের অগ্নিমূর্তি ধারণ করে হুংকার দিলেন, ‘এই বেয়াদব, কোন পাড়ায় বাসা তোমার? ফাদারের নাম কী?’
‘আঙ্কেল, এক কথা তো বারবার বলা যাবে না!’ তরুণ দৈত্য সানগ্লাস চোখে দিতে দিতে বলল, ‘এমনিতেই গত রাতে টাউন হল হারিয়ে পথে বসেছি...ওহ্, আপনি তো আবার এসব টার্ম বুঝবেন না! ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস নামে একটা মোবাইল ফোন গেম আছে, ওটার কথা বলছিলাম। যাহোক, এক কাজ করেন, আপনি শুধু আপনার স্মার্টফোনটা দিয়ে দেন। আমি নিজেই এফবি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারব আর ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানসের অ্যাপটাও নামিয়ে নেব। দেন, ফোনটা আমার কাছে দেন।’ বলেই শূন্যে ভাসতে ভাসতে তরুণ দৈত্য বাকের সাহেবের হাত থেকে স্মার্টফোনটা নিয়ে নিল।
বাকের সাহেবের মুখটা হয়ে গেল ডাঙায় তোলা বোয়াল মাছের মতো। একবার খুলছে একবার বন্ধ হচ্ছে। আধুনিক প্রজন্মের এই মোবাইল ছিনতাইকারীর সৃজনশীলতা দেখে তিনি একই সঙ্গে হতবাক ও হতাশ। দুইয়ে মিলে যাকে বলে ‘হতবাশ’! তবে ছেলেটা যে শূন্যে ভাসছে, এটা মিথ্যে নয়! আসলেই কি সে দৈত্য? বাকের সাহেবের মাথা ঘুরতে লাগল।
তাঁর মনের কথা টের পেয়েই কি না, তরুণ দৈত্য মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বলল, ‘আঙ্কেল, আমার কথা আর কাউকে বলতে যাবেন না! আপনি ছাড়া আমাকে আর কেউ দেখতে পাবে না। সো আমার কথা কাউকে বলবেন তো নিজেকে পাগল প্রমাণ করবেন! হে হে হে!’
২.
বাকের সাহেবের ছেলে মানে নাবিল পড়ে ক্লাস এইটে। আজ ক্লাসে ঢোকার পর থেকেই সে খেয়াল করছে টুশি মেয়েটা তাকে দেখে ফিচলেমার্কা হাসি দিচ্ছে। ব্রেকের সময় টুশির সামনে গিয়ে নাবিল জিজ্ঞেস করল, ‘সমস্যা কী? আমাকে দেখে এমন বাঁদরের মতো হাসছিস কেন?’
টুশি ওর হাতের শিঙাড়ায় একটা কামড় বসিয়ে বলল, ‘তোর বাবা, মানে আঙ্কেল তো সো কুল!’
: দেখতে হবে না কার বাবা!
: সেটাই। গতকাল রাতে দেখি আঙ্কেল আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। সঙ্গে আবার একটা মেসেজ! লিখেছেন, ‘হাই ফ্রানস, অ্যাড মেহ্! আই অ্যাম বলক!’ হি হি হি!
: কী? আমার বাবা? ফেসবুকে? দেখ টুশি, বড়দের নিয়ে ফাজলামি করবি না খবরদার!
: আমি ফাজলামি করছি?
: অবশ্যই। বাবা যে মোবাইল ফোন ইউজ করে ফোন করতে পারে, এটাই তো বেশি। এফবি ইউজ করবে কোন দুঃখে!
: বিশ্বাস না হলে বাসায় যা, আমি লিংক পাঠিয়ে দেব।
নাবিল আর টুশির কথোপকথনের এই পর্যায়ে ব্রেক শেষ হওয়ার ঘণ্টা পড়ে গেল। কথা আর বেশি দূর এগোল না। ক্লাসের বাকিটা সময় নাবিলের মেজাজটা ভীষণ তিরিক্ষি হয়ে রইল। এটা কী করে সম্ভব! যে বাবা সারাক্ষণ ফেসবুকবিরোধী লেকচার দিয়ে বেড়ান, তিনিই কিনা...!
৩.
বাকের সাহেবের স্ত্রী মানে রুবিনা হকের মনে হলো, কোথাও একটা ঝামেলা হয়েছে। গতকাল রাত থেকে খেয়াল করছেন, নাবিলের বাবা একা একা বিড়বিড় করে কী যেন বলছেন! অফিসে নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করেও করেননি। কিন্তু সন্ধ্যার পর খেয়াল করলেন, নাবিলের বাবা বারান্দায় কার সঙ্গে যেন খুব গম্ভীর মুখে কথা বলছে! কাপড় ভাঁজ করতে করতে সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই, কার সঙ্গে কথা বলো?’
স্ত্রীর আচমকা আগমনে বাকের সাহেব বজ্রাহতের মতো হয়ে গেলেন! নিজেকে সামলে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে বললেন, ‘হ্যাঁ...না...মানে...কই...কী বললাম! কোথায় বললাম?’
: তুমি শিয়োর, কিছু বলছিলে না?
: আরে, নাহ্! অফিসের একটা হিসাব করছিলাম...
রুবিনা হক স্বামীর দিকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে ভেতরে চলে গেলেন। বাকের সাহেবের ঘাম দিয়ে জ্বর নামল। স্ক্র্যাচ কার্ডের দৈত্য তাঁর মোবাইল ফোনে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস খেলছে। রুবিনা ছেলেটাকে দেখেনি! কী মুশকিল! বাকের সাহেব গলা নামিয়ে প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় জানতে চাইলেন, ‘বাবা দৈত্য, তুমি আর কত দিন থাকবে, বাবা?’
দৈত্য মাথা না তুলে বলল, ‘যত দিন আপনার এই মোবাইল ফোনটা থাকবে!’
এবার দরজার আড়াল থেকে পুরো ঘটনাটা দেখলেন রুবিনা হক। তাঁর আর সন্দেহ রইল না যে নাবিলের বাবার মধ্যে বড় একটা গন্ডগোল হয়েছে। একা একা কথা বলছে, তা-ও আবার মিনমিনে গলায়! দীর্ঘ দাম্পত্যজীবনে এতটা মিনমিনে হতে তাঁকে আর কখনো দেখেছেন বলে তাঁর মনে পড়ে না!
রাতে পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হলেন। নাবিল তাঁকে আড়ালে ডেকে মুখ গোঁজ করে বলল, ‘মা, বাবা যে ফেসবুক ইউজ করে, তুমি জানো?’
রুবিনার হাতে একটা ম্যাগাজিন ছিল। স্যাত্ করে সেটা নিচে পড়ে গেল, ‘ফেসবুক? তোর বাবা?’
: হ্যাঁ, বাবা ফেসবুক ইউজ করে আর আমার মেয়েফ্রেন্ডদের অ্যাড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে অদ্ভুত সব ল্যাঙ্গুয়েজে!
: তুই শিয়োর?
: বারবার একই প্রশ্ন কোরো না তো! আমি ড্যাম শিয়োর। টুশি আমাকে লিংক পাঠিয়েছিল, কিন্তু আমি বাবাকে পেলাম না, মানে আমাকে ব্লক করে রেখেছে! পরে স্ক্রিনশট দেখে আমি আপসেট!
নাবিল যে ফেসবুক ব্যবহার করে, উত্তেজনায় সেটা খেয়াল করলেন না রুবিনা। তাঁর মাথা ঘুরছে! বিছানায় বসে পড়লেন ধপাস করে। হাত ইশারা করে ফ্যানের স্পিড বাড়িয়ে দিতে বললেন নাবিলকে। তাঁর ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যাচ্ছে।
৪.
ভীষণ একটা ঝগড়া হয়ে গেল পরদিন সন্ধ্যায়। বাকের সাহেব একসময় নিরুপায় হয়ে বলে দিয়েছিলেন স্ক্র্যাচ কার্ডের দৈত্যের কথা। কে শোনে কার কথা! ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি’, ‘ফোর্টি সিনড্রম’-টাইপের কিছু ব্যাখ্যাসহ রুবিনা বেশ শক্ত যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে কোণঠাসা করে ছাড়লেন। বাকের সাহেবের কাছে সব অর্থহীন লাগছে! দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে সামান্য বিশ্বাসটুকু না থাকলে আর কী-ইবা থাকে! ছেলেটাও একসময় মুখ ফুটে বলে ফেলল, ‘বাবা, তুমি কেন আমার মেয়েফ্রেন্ডদের সঙ্গে এভাবে কথা বললে? তার ওপর কাল নাকি স্ট্যাটাস দিয়েছ, “হাই ফ্রানস, কিচ্ছু ভাল্লাগছে না! কী করি বলো তো?” ছি বাবা, ছি!’
ছেলের মুখে ‘ছি ছি’ শোনার পর বাকের সাহেবের মনটা আরও বিষিয়ে উঠল। লুঙ্গি পরেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লেন। হাঁটতে হাঁটতে পার্কটায় ঢুকলেন। রাত আটটা বাজে। লোকজন কমে এসেছে। হালকা বাতাস বইছে। একটা ফাঁকা বেঞ্চ খুঁজে বসে পড়লেন। দৈত্যটা এখন ঘুমোচ্ছে। সারা রাত ফেসবুকিং আর ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে, এটা তারই প্রস্তুতি। আশ্চর্য একটা দৈত্যের পাল্লায় পড়েছেন তিনি! ইচ্ছা করছে মোবাইল ফোনটা লেকের পানিতে ছুড়ে মারেন! কিন্তু এত দামি সেটটা ফেলে দিতেও তো হাত কাঁপে!
বাকের সাহেবের এলোমেলো সব ভাবনায় ছেদ পড়ল মোলায়েম একটা ডাকে, ‘আঙ্কেল, কেমন আছেন?’
বাকের সাহেব ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন, বেঞ্চের পেছনে একটা ২০-২২ বছরের তরুণ ঝকঝকে সাদা দাঁত বের করে হাসছে। দেখতে দেখতে সে তাঁর পাশে এসে বসল। ততক্ষণে আরও দুই তরুণ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। পাশে বসা তরুণ আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে বলল, ‘আঙ্কেল, আমার কোমরের ঠিক এই জায়গাটায় খুব পেইন বুঝলেন...ধরে দেখেন!’ বলতে বলতে সে বাকের সাহেবের ডান হাতটা টেনে নিয়ে তার কোমরে ঠেসে ধরল। বাকের সাহেবের বুঝতে বাকি রইল না, সেখানে একটা পিস্তল ঘাপটি মেরে আছে! বাকিটা তিনি বুঝে নিলেন।
পেছনের ছেলেটা তাঁর কাঁধে হাত রেখে বলল, ‘আঙ্কেল, চিল্লাফাল্লা করলে হার্টের ওপর প্রিশার পড়ব। কুনো চিল্লাফাল্লা করবেন না। বোঝা গেছে?’
বাকের সাহেব দুর্বলভাবে মাথাটা ওপর-নিচ করলেন।
তৃতীয় ছেলেটা খ্যাঁকখ্যাঁক করে হেসে বলল, ‘লুঙ্গিতে কি পকেট আছে, আঙ্কেল?’
বাকের সাহেব এবার ডানে-বাঁয়ে মাথা নাড়লেন।
: তাইলে বুকপকেটে কী আছে?
: একটা মোবাইল ফোন আর কিছু খুচরা টাকা।
এক মিনিটের মধ্যে বাকের সাহেবের মোবাইল ফোন আর খুচরা টাকাগুলো নিয়ে অন্ধকারে হারিয়ে গেল তিন তরুণ ছিনতাইকারী।
৫.
একে তো বাসায় অশান্তি, তার ওপর ছিনতাইকারীদের কাছে মোবাইল ফোনটা খুইয়ে বাকের সাহেব বিধ্বস্ত। তাই একসময় বাসায় ফেরা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখলেন না। বাসায় ফিরে দেখেন, ছেলে আর স্ত্রী মুখ গোঁজ করে ড্রয়িংরুমে বসে আছেন। বাবাকে দেখে নাবিল বলল, ‘বাবা, তোমার মোবাইলটা দাও তো।’
বাকের সাহেব কিছুক্ষণ টিভির দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন, ‘ওটা ছিনতাইকারী নিয়ে গেছে!’ রুবিনার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আলমারিতে আমার নকিয়া ১১০০ সেটটা খুঁজে বের করো তো। ছাতার স্মার্টফোন আর ইউজ করতে চাই না!’
শেষ কথা
মোবাইল ফোন ছিনতাই হওয়ার পর স্ক্র্যাচ কার্ডের ওই দৈত্যটাকে আর কোনো দিন দেখেননি বাকের সাহেব। আর ফেসবুকে তাঁর আইডিটাও উধাও হয়ে গেছে! রুবিনার ধারণা, ধাতানি খেয়েই বাকের সাহেব লাইনে এসেছেন। নাবিল আর টুশি অবশ্য রহস্যটার কোনো মীমাংসা করতে পারেনি!