‘বাবা-মা, আমি বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হব।’
‘কী! মানুষ হবি! হা হা হা হা! তুই...মানুষ হবি!’
‘হ্যাঁ, তাতে অসুবিধার কী আছে? এমনভাবে কথা বলছ, যেন আমি মানুষ হতেই পারি না।’
হাসতে হাসতেই মা জবাব দেন, ‘তোর বাবাকে ডাকি, কই গো, শুনছ। তোমার ছেলে বলছে, ও নাকি মানুষ হবে! হা হা হা!’
বাবাও এগিয়ে আসেন, ‘কী হয়েছে? এই তুই এমন আজগুবি কথা কোত্থেকে শিখলি?’
আমি বললাম, ‘আজগুবি মানে! মানুষ হতে চাওয়া কি অপরাধ?’
হঠাৎ বাবা গলার স্বর পরিবর্তন করলেন, ‘শোন, এই সব কথাবার্তা আর কক্ষনো বলবি না, বুঝলি?’
মা বললেন, ‘আর ওই...হুমায়ূন আহমেদ...জাফর ইকবাল...এদের ফালতু বই পড়া বন্ধ করবি। গল্পের বই পড়ে পড়েই তোর মাথাটা গেছে!
আমি এসব কথাবার্তায় বিরক্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম। আসলে আমার কথাবার্তা কখনো মা-বাবা গুরুত্বসহকারে নেন না। উড়িয়ে দেন। বাবা-মা আমাকে মনে করেন একজন জোকার।
কত দিন ধরে একই কথা বলছি, পাত্তাই দিচ্ছেন না।
অবশ্য তাঁদের বেশি দোষ দেওয়াও যায় না।
কোনো ভূত যদি মানুষ হতে চায়, তাহলে কেউ কি না হেসে পারে?