তৈমুর ও তার ছোট্ট মিষ্টি টিয়া পাখি
একদা এক সময়ে, একজন ভালো ছেলে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত তার ছোট গ্রামে। তার নাম ছিল তৈমুর, কিন্তু তার কোনো ভাইবোন ছিল না। ভাইবোন না থাকলেও তার ছিল খুব আদুরে ছোট্ট মিষ্টি টিয়া পাখি। সে টিয়া পাখিটিকে খুব ভালবাসত, আর টিয়া পাখিটিও তাকে অনেক ভালোবাসত। সে কোথাও গেলে টিয়া পাখিটি তার ঘাড়ে বসে ঘুরে বেড়াত। তার সঙ্গে সব সময় খেলাধুলা করত। সময় কাটাত।
টিয়া পাখিটি একটু একটু কথা বলতে পারত। বাড়িতে কোনো মেহমান এলে টিয়া পাখিটি অভ্যর্থনা জানাত, টিয়া পাখিটি লাল মরিচ খেতে অনেক পছন্দ করত। তাই তৈমুর তার জন্য বাজার থেকে সবসময় লাল মরিচ কিনে আনত। সে একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখল তার আদরের টিয়া পাখিটি বাড়িতে নেই।
আসলে টিয়া পাখিটি পথ হারিয়ে ফেলেছিল। কারণ, তখন ছিল বর্ষাকাল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় টিয়া পাখিটি ভিজে গিয়ে আর উড়তে পারছিল না। বজ্রপাত দেখে তৈমুর আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ল। আর সে কান্না করতে লাগল। সে বেশি চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল এই ভেবে যে, পাখির ডানা ভিজে গেলে তো পাখিরা আর বেশিদূর উড়তে পারেনা।
সে ছাতা নিয়ে সারা রাস্তা খুঁজে বেরাচ্ছিল। কিন্তু তাঁর আদরের টিয়া পাখিটিকে সে পাচ্ছিল না। এইভাবে একদিন, দুইদিন করে কয়েকমাস পার হয়ে গেলো। তৈমুরের মনের দুঃখে দিনের পর দিন আর রাতের পর রাত পার হয়। হঠাৎ একদিন সে দেখল তাদের বাড়ির বারান্দায় কে যেন 'মিঠু মিঠু' করে ডাকছে। সে দৌড়ে গিয়ে দেখল, তার আদরের ছোট মিষ্টি টিয়া পাখি। দেখে সে খুশিতে অট্টহাসি দিয়ে টিয়া পাখিটিকে জড়িয়ে ধরল। আর টিয়া পাখিটি উড়তে উড়তে তৈমুরের হাতে এসে বসল।
তারা আবার তাদের হাসোজ্জ্বল দিনগুলোতে ফিরে গেলো। এইভাবেই সুখে শান্তিতে তাদের দিন কাটতে লাগল।
লেখক: শিক্ষার্থী, তৃতীয় শ্রেণি, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ